ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান
জনপ্রিয়তা বাড়ছে ড্রাগন ফলের
ইংরেজিতে পাতাহায়া বাংলায় ড্রাগন। নাম যাই হোক বর্তমানে বাংলাদেশে আলোচিত ফলের মধ্যে ড্রাগণ প্রধানত। ভিন্ন রকম স্বাদের কারণে যেমন মানুষের মাঝে ড্রাগন নিয়ে কৌতুহুল এর শেষ নেই তেমনি চাষাবাদ নিয়েও রয়েছে নানান মতামত।
ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো – Hylocereus undatus. ড্রাগন ফল মূলত সেন্ট্রাল আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটা ফল। সেন্ট্রাল আমেরিকাতে এ ফলটি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে প্রবর্তন করা হয়।
বিদেশি ফর হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে বেড়ে চলচে ড্রাগনের চাষ। বছরের ৮ মাস ড্রাগন গ্রাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষকরাও ভাল লাভবান হচ্ছেন ড্রাগন চাষ করে।
প্রতিদিনের নিয়েমিত পরিমান হারে ড্রাগন ফল খাওয়া । ড্রাগন ফলে আঁশের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। যার ফলে পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে ।
যা বদহজমের জন্য ও অত্যন্ত কার্যকারী। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাই রয়েছে এই ড্রাগন ফলে। বিশেষত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C রয়েছে এই ড্রাগন ফলটিতে । এই ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকভাবে বজায় থাকে। নিয়মিত এই ফলটি খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য অনেক ভাল থাকবে।
ড্রাগনের পুষ্টি উপাদান সমূহ:-
ক্যালোরি: ১৩৬
প্রোটিন: ৩ গ্রাম
ফ্যাট: ০ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ২৯ গ্রাম
ফাইবার: ৭ গ্রাম
আয়রন: দৈনিক চাহিদার ৮%
ম্যাগনেসিয়াম: দৈনিক চাহিদার ১৮%
ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ৯%
ভিটামিন ই: দৈনিক চাহিদার ৪%
গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে ড্রাগন ফল।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url