দাঁতে পোকা প্রতিরোধ ও প্রতিকার


দাঁতে পোকা আসুন জেনে নিই সত্যটা। পৃথিবীতে ঘোড়ার ডিমের যেরকম অস্তিত্ব নেই ঠিক তেমন দাঁতে পোকা একটি প্রচলিত শব্দ। অজ্ঞতা, অযত্ন ও অবহেলা অর্থাৎ সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে ব্রাশ না করলে দাঁত ক্ষয় হয়। সময়ের সাথে ক্ষত গভীর হয় এবং স্নায়ু বা নার্ভের ওপর খাবার, পানি যা যাই তখন তীব্র ব্যথা হয়। মুখ ফুলে ও যায় অনেক সময়।
দাঁতে পোকা হবার  করণীয় প্রতিরোধ ও প্রতিকার

 ভূমিকা

গ্রামাঞ্চলের ভাষায় দাঁতে পোকা আসলে দাঁতে দৃশ্যমান কোনো পোকা থাকে না। দাঁতের বা মুখের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতের ক্ষয় রোগের জন্য দায়ী। কোন খাবার খেলে দাঁত মুখের ভিতরে আবরণ তৈরি করে আর সেই ক্ষতস্থানে গর্ত সৃষ্টি হয় আর তীব্র যন্ত্রণা ও ব্যথা অনুভব হয় ।

সাধারণত কোন মানুষ যদি কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, চকলেট, চুইংগাম, ক্যান্ডি ইত্যাদি খাওয়ার পর মুখে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে দাঁতের উপরে শক্ত আবরণ ‘অ্যানামেল’ ক্ষয় করে থাকে। সে আবরণে দাঁতের এক সময় ক্ষত সৃষ্টি হয় সেই ক্ষতকে গ্রাম্য ভাষায় বলা হয় দাঁতে পোকা আসলে তা নয় দাঁতে পোকা হয় না। এটা ডেন্টাল ভাষায় ‘অ্যানামেল’ ক্ষয় বলা হয়।
যারা এসব মিষ্টি জাতীয় চকলেট ইত্যাদি খাবার বেশি খায়, তাদের ক্ষেত্রে অ্যানামেল ক্ষয় হয়ে দাঁতে ছিদ্র বা গর্ত তৈরি হয়। দাঁতের মধ্যে গর্ত হলে তাতে খাবার পানি ও খাদ্য কণা জমে, সে ক্ষত স্থানে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয় এবং পার্শ্ববর্তী থাক দাগগুলো সংক্রমণ হয়।
বিশেষ করে দাঁতের ক্ষত বা দাঁতে পোকা শিশুদের মাঝে দেখা যায় বেশি। তাদের বিভিন্ন মিস্টে জাতীয় খাবার ও চকলেট খাওয়ার ফলে দাঁতে গর্ত বা ক্যাভিটি হলে তারা ব্যথায় কষ্ট পায় ও কিছু খেতে গেলেই পানি ও বরফ খেতে গেলে দাঁত শিরশির করে ওঠে। 

বাচ্চাদের মিষ্টি জাতীয় বা চকলেট খাওয়ার পরে যদি ব্রাশ না করা হয় তাহলে দাঁতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে প্রাথমিক অবস্থায় শিশু বাচ্চাদের দাঁতে পোকা বা ক্ষতস্থান বুঝা যায় না ।এ অবস্থায় কোনো ব্যথা বা অসুবিধা না থাকায় রোগীরা, বিশেষ করে শিশুরা বুঝে উঠতে পারে না যে গর্ত তৈরি হচ্ছে। জটিলতা হওয়ার পরই কেবল ধরা পড়ে।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার 

দাঁতে পোকা প্রতিরোধ করতে গেলে সর্বপ্রথম মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবার পরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। বিশেষ করে শিশু বাচ্চাদের চকলেট মিষ্টি ও মাংস খাবার পরে দাঁতের পার্শ্ববর্তী স্থানে লেগে থাকলে তা অপসারণ করতে হবে। যদি সে দাঁতের পাশে থেকে যায় তাহলে সে দাঁতে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হবে বিশেষ করে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দাঁতে কোন খাবার নিয়ে না থাকে তাহলে অনেকটা প্রতিরোধ করা যাবে।

অনেক সময় ভালো মানের ব্রাশ ও টুথপেস্ট ব্যবহার না করার কারণেও দাঁতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ভালো মানের ব্রাশ ও টুথপেস্ট ব্যবহার করাটা অনেকাংশে ক্ষতস্থান বা দাঁতে পোকা দূর করে।

দাঁতে পোকা প্রতিরোধ করতে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও দিন বা রাতে খাবারের পরে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে সেই সাথে দাঁতে যেন কোন খাবার লেগে না থাকে সেটিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যদি কোন খাবার লেগে থাকে তাহলে সেটা অপসারণ করতে হবে তাহলে দাঁতে পোকা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
শিশুর দাঁতের ব্যথা- pulpitis ( মজ্জার প্রদাহ)
শিশুর হয় দাঁতে ব্যথা, অভিভাবকের হয় মাথা ব্যথা,কেননা রাতে বাচ্চারা ব্যথায় কান্না করে।ঘুম হারাম হয়ে যায়।
ব্যথার কারন:- অযত্ন ও অজ্ঞতা, চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা না নেয়া।
সমাধান:-
৬ মাস পরপর চেকাপ করাবেন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যেমন-
pulpectomy (ব্যথা হলে)
Dental restoration / Filling ( caries বা ক্ষয় হলে) নিবেন।
সবার সুস্বাস্হ্য সুন্দর জীবনের কামনায়...



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url