রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা
প্রবাদ আছে যত গুড় তত মিষ্টি মসলার স্বাদ বেশি খেলাতে পারলে নাকি রান্নার মাহাদূরি নানা কথায় বাক্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শহরে শেপ বলি আর গ্রারেম বাবুচিএদর কাছে তবে রান্নায মসলার ব্যবহার আমাদের নিয়মিত রান্নায় বেশি ব্যবহার না হলে ও বিয়ে বাড়ি অথবা বড় কোন আয়োজন হলে মসলার কোন জুড়ি নেই।ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা । এবার কিছু জরুরি ঔষধি গুনের কথা বলা যাক।
ভূমিকা
দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন রকম মসলা ব্যবহার করে থাকি এই মসলার এর গুনাগুন আমাদের আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম উপকারিতা কাজ করছে । বাঙালি মসলা প্রিয় প্রাচীনকাল থেকে।ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
আজ থেকে ৫০০ বছর আগে থেকে ভারত বর্ষে মসলার অনেক চাহিদা ছিল সেই সূত্রে থেকে আজকে আমরা মসলা ব্যবহার করে থাকে মসলা না থাকলে তরকারি ভালোই লাগে না তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মসলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ।
হোক বিয়ে বাড়ি ,হোক কোনো অনুষ্ঠান বা হোক নিজের বাড়িতে রান্নাতে মসলার কোন বিকল্প ব্যবহার নাই । দিনে দিন আরও বেশি চাহিদা বা সেই মসলার বিভিন্ন মুখরাচর খাবারের জন্য এই মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে আর এই মসলাতে আছে ।
ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা । নানারকম ঔষুধি গুনাগুনী আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন বিভিন্ন ঔষুধি গুনাগুনী ভরপুর ও তাদের সেই গুনাগুনী নিয়ে আজকের এই টিপসটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো আশা করি শেষ মুহূর্তে আপনারা মসলার ব্যবহার করলে ঔষধ হিসাবে মানবদেহে ব্যবহার হচ্ছে জানতে পারবেন আশা করি ।
মেথি, পেঁয়াজ, হলুদ ও রসুনের মতো কিছু মসলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে।
এলাচ মসলার ব্যবহার
এলাচের মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায় । এছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা । স্বাস্থ্য সুবিধা গুলির মধ্যে রয়েছে হজমকরণ, রক্তচাপ কমানো, বিপাক বৃদ্ধি, সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এটি রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন সি এবং লোহা, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাসিয়ামের মত খনিজ ও ভিটামিন প্রদান করে।
দারুচিনি মসলার ব্যবহার
দারুচিনি মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায় প্রদাহ কমাতে, ব্যথা দূর করা, ডায়াবেটিস পরিচালনা, সংক্রমণ দূর করা, অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে এবং হৃদরোগের উন্নতির জন্য দারুচিনি খুবই কার্যকর।ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
এটি বুদ্ধি বিকাশে, শক্তিশালী হাড় গঠন, ক্যান্সার প্রতিরোধ, এবং চোখের ও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে । এগুলোকে আমরা শুধু রান্নার কাজেই ব্যবহার করি কিন্তু আমাদের জানা নেই এগুলো থেকে নিত্যদিনের বিভিন্ন রোগ সারানোর থেকে শুরু করে এগুলো আমাদের শরির গঠনের কি পরিমান প্রভাব বিস্তার করে।ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
লবঙ্গ মসলার ব্যবহার
লবঙ্গ মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায় এই মসলাটি আমরা বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করে থাকি। এই মসলাতে রয়েছে নানা গুনাগুন। লবঙ্গ ক্যান্সার প্রতিরোধ, এবং হাড়ের স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য ভাল।জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্যথায় আদা উপকার করে থাকে।ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
জিরা মসলার ব্যবহার
জিরা মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায়।জিরা একটি অত্যন্ত উপকারী মসলা উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি প্রদাহ যা হজম উন্নতি করতে সাহায্য করে। ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
এছাড়াও শুক্রানু বৃদ্ধি, হাড় শক্তিশালী দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ডিজিজ প্রতিরোধ করে। জিরার একটি অন্যতম উপকারিতা হলো এটি নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও জিরা রক্তের কোষ বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
মেথি মসলার ব্যবহার
মেথি মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায় ।মেথি এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মসলা। এটি শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর। মেথি হজম উন্নতি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে, ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের তরল পদার্থ পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
এখন দিন যত যাচ্ছে মসলাজাতীয় খাবার প্রতি মানুষের ভয চরে আসছে বিভিন্ন ভেজাল জতীয় খাবারের কারনে যখন আমরা অসুস্থ হই ঠিক তথনই দায়ী করে বসি মসলা জাতিয় খাবার গুলোকে। ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা । যাই কোন সকর খাবার মানুষের স্বাস্থের জন্য উপকারি তা হতে হবে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিমিত ভাবে।
রসুন মসলার ব্যবহার
রসুনের মতো কিছু মসলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। রসুনে আছে ভিটামিন A.B.C.D. ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, আয়ো উন, এবং উগ্রশক্তির জীবানুনাশক ৬টি শক্তি। কয়েকবছর পূর্বে রসুনকে কেন্দ্র করে একটি সিমপোজিয়াম বা আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া শহরে।
(১) বাতের বেদনায় – প্রতিদিন ১ কোয়া রসুন গরম ভাতের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে হবে। এছাড়া ৫০ গ্রাম সরষের তেলে ১০ কোয়া রসুন ভেজে সেই তেল দিনে দুবার করে মালিশ করতে হবে আক্রান্ত যায়গায় ৷
(২) অকালবার্দ্ধক্য রোধ— প্রতিদিন ২ কোয়া করে রসুন ভেজে বা বেটে তরকারীর সাথে বা আটা, ময়দা, ছাতুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
(৩) যৌবন শক্তি ধরে রাখার জন্য – প্রতিদিন ২ চামচ আমলকির রস এবং ২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খেতে হবে অন্তত দুমাস। এই ব্যবস্থা স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ।
(৪) পেটের বায়ুতে— ১ কাপ ঠান্ডা পানিতে ৩/৪ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে প্রতিদি। সকা খেতে হবে। ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
(২) অকালবার্দ্ধক্য রোধ— প্রতিদিন ২ কোয়া করে রসুন ভেজে বা বেটে তরকারীর সাথে বা আটা, ময়দা, ছাতুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
(৩) যৌবন শক্তি ধরে রাখার জন্য – প্রতিদিন ২ চামচ আমলকির রস এবং ২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খেতে হবে অন্তত দুমাস। এই ব্যবস্থা স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ।
(৪) পেটের বায়ুতে— ১ কাপ ঠান্ডা পানিতে ৩/৪ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে প্রতিদি। সকা খেতে হবে। ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
আরো বিস্তারিত জন্য পড়ুন রসুন খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা মরিচ ব্যবহার
মানবদেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এ কাঁচা মরিচ। মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায় । কাঁচা মরিচ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের গুণে আছে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬,ভিটামিন সি রয়েছে।
কাঁচা মরিচ ঝাল খাবারটি ভিটামিন এ ও ফোলেটে ভরপুর আছে । এছাড়াও কাঁচা মরিচে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, সোডিয়াম, কপারসহ শরীরের জন্য উপকারী বেশ কিছু খনিজ পদার্থ রয়েছে। ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
লাল মরিচের গুড়ো ব্যবহার
লাল মরিচের গুড়ো মসলার ব্যবহার ঔষধি গুন লক্ষ্য করা যায় । আমাদের খাবারে যেসব কাঁচা মরিচ মতো মসলা ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে লাল মরিচের গুড়ো।এর মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন নামের একটি বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড। আমাদের লিভারে ও রক্তে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ।
হলুদ হলুদ মসলা ব্যবহার
হলুদ মতো কিছু মসলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।হলুদ মসলা মানবদেহে গোলকোচ পরিমাপ কমাতে সাহায্য করে খাবারের রং পাশাপাশি ও ডায়াবেটিস ও বিভিন্ন রকম ওষুধ গুনাগুনি এর হলুদের মাঝে।
হলুদ মসলা দিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা করা চলছে। বিভিন্ন বিজ্ঞানী বলা হয়েছে যে হল চিকিৎসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই মসলা ব্যবহার ঔষধি গুন আছে । বিভিন্ন গবেষণা হলো কয়েক বছর ধরে গবেষণা চলছে হলুদ কাঁচা ও হলুদ গুঁড়া মানব দেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ।
যে চিকিৎসা গুলো হলুদ করে থাকে হাটকে শক্তিশালী করে লিভার কর্ম ক্ষমতা বাড়ায় ।এটি রক্তকে পাতলা করে । রক্তনালীতে প্লাক জমে যাতে সেখানে ব্লক তৈরি না হয় ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ রাখে হলুদ ।
ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা । এছাড়া হলুদে রয়েছে বিভিন্ন ওষুধে গুণ ভরপুর । হলুদের মধ্যে যে কারকুমিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে । মানব দেহে শরীরে যেসব ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হয় সেগুলো বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতি হাতে রক্ষা করে ।
আদা মসলা ব্যবহার
মানবদেহে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো আদা । আদা ব্যবহার করে মানবদেহে অনেক কিছু ওষুধে গুণ পাওয়া যায় নিজে উল্লেখ করা হলো সে আদার গুনাগুন -
জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্যথায় আদা উপকার করে থাকে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে আদা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে ।
বসন্ত রোগে এর রস উপকারী করে শরীর শীতল করে ।
হৃৎপিণ্ডের জন্য আদা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে । প্রতিদিন এক টুকরো আদা চিবিয়ে তার রস নিয়মিত খেলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।
ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা । কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপকারী উপকার পাবেন।
আদা চাষ পদ্ধতি জানতে:
আরো বিস্তারিত জন্য পড়ুন বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি
লেখকের মন্তব্য
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবারে মসলা ব্যবহার সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। দৈনন্দিন আমরা বিভিন্ন জাতের মসলা ব্যবহার করে থাকি সেই মসলাতে কোন ধরনের কি উপাদান ও ঔষধি গুণ ও রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে সেগুলো এই কন্টেইনে তুলে ধরা হয়েছে ।
যদি এ কন্টেন্ট আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা শেয়ার করবেন ও আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ ।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url