ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধের উপকারিতা
মানব দেহের পানির প্রয়োজনীয়তা আছে যেমন তা অধিকাংশ ডাবের মাধ্যমে পরিপূর্ণ করা যায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঘাম বের হয়ে তা ডাব পানি পান করলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে পাওয়া যায় এবং শরীরকে সুস্থ সবল করে রাখে।
ভূমিকা
ডাবের পানি মানব দেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। মানবদেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই ।সে সাথে হিমোগ্লোবিন ও পানির চাহিদা পূরণ করে ।বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের মধ্যে ডেঙ্গু ,ডায়রিয়া, আমাশা, জ্বর , কিডনির ,হার্টের সমস্যা ও গর্ভবতী মায়েদের ধার পানি খাওয়ার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে ।ডাবের পানির উপকারিতা
আমাদের দেমে ডাবের ব্যবহার এক কেন্দ্রীক হওয়াতে ডাবের চাহিদা শুধু বলা যায় পয়সা ওয়ালাদের আর সুস্থ ব্যক্তি যখন রোগি হয় তখন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহ, এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
টাটকা, ক্যানে ভরা, অথবা বোতলে ভরে ডাবের পানি বিক্রি করা হয়। তৃষ্ণা মিটানোর পাশাপাশি নানা ধরনের উপকারী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ডাবের পানি। আমাদের দেশে সহজলভ্য ডাবের পানির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই।
পানিতে বিভিন্ন ভিটামিন
ডাবের পানিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৬.৭ ক্যালোরি তথা ৭০ কিলো জুল খাদ্যশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশে খুলনা অঞ্চরে সবচেয়ে বেশি পরিমান নারিকেল বা ডাবের চাষ হয়ে থাকে।প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে জলীয় অংশ ৯৫ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ ০.৩ গ্রাম, আমিষ ২.৩ গ্রাম, শর্করা ২.৪ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.১ মিলিগ্রাম, ০.১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ১, ০.০২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও খাদ্যশক্তি ২৩ কিলোক্যালরি থাকে।
ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধের উপকারিতা
সৃষ্টিকর্তার এক অপরুন নির্দশন ডাবের ভেতর পানি। রোগির হয়ে বিছানায় যাওয়ার পূর্বে মাঝে মাঝে ডাবের পানি যেমন শরিরে পটাশিয়ারেম চাহিদা পূরন করে তেমনি ডায়রিয়ার জন্য জাতিয় পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় ডাবের পানি।ডাবের অনান্য উপকাতিার মধ্যে শরিরের ক্লান্তিহীনতা দূর করে। ত্বকের লাবন্য ধরে রাখে বদ হজ দূর করে ডাবের পানি।কিডনির সুরক্ষায় ডাবের পানির উপকারিতা
ডাবের পানির অসাধারণ স্বাস্থ্যো পকারিতাগুলোর একটা হলো কিডনিতে পাথর জমতে বাঁধা দেওয়া। স্ফটিকজাতীয় পদার্থের উপস্থিতির ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এই যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।গবেষণায় দেখা গেছে যে ডাবের পানি কিডনি থেকে এই স্ফটিক জাতীয় পদার্থ মূত্রত্যাগের মাধ্যমে দেহের বাইরে বের করে দিতে যথেষ্ট কার্যকর ভুমিকা রাখে। তবে যাদের কিডনি রোগ আছে তাদের জন্য ডাবের পানি পান বিপদের কারন হতে পারে। কিডনি রোগ হলে ডাবের পানি পান করা একদমই ঠিক নয়। কারণ কিডনি অকার্যকর হলে শরীরের অতিরিক্ত পটাশিয়াম দেহ থেকে বের হয় না।
ডার পানিতে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি সাহায্য করে
মানবদেহে রক্ত পরিমাপ কমে গেলে ডাবের পানি সেবন করলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পাবে এর সাথে ডাবের পানি সেবন ও নিয়মিত খাবার গ্রহণ করলে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের রক্ত পরিমাপ বাড়বে। ব্লাড ডোনেট করার পর শরীরে হিমোগ্লোবিন পরিমাপ কমে যায় শেষ সময় ডোনারকে ডাবের পানি দিলে তার হিমোগ্লোবিন মাথা বেড়ে যায় এর সাথে সে তার শরীরের যে ব্লাড ডোনেট করেছে সেটা অনেকটা পূরণ হওয়ার হয়ে যায় ।সাধারণ পানি ও ডাবের পানির মধ্যে পার্থক্য
সাধারণ পানি যেটা মাটি থেকে ভূগোলের মাধ্যমে বলে বা বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা পেয়ে থাকি । সে বিভিন্ন মানবদেহে উপকার করে । ঠিক কিন্তু ডায়েল পানির সাথে এটা পার্থক্য ভূগর্ভে পানির মধ্যে পার্থক্য অনেক। ডাবের পানিতে পানিতে রয়েছে । বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ,আমিষ ,শর্করা ,চর্বি ,ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস ,আয়রন ,ভিটামিন বি ,বি২,ভিটামিন সি ও খাদ্যশক্তিখনিজ পদার্থ ,আমিষ ,শর্করা ,চর্বি ,ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস ,আয়রন ইত্যাদি ডাবের পানিতে ভিটামিন পাওয়া যায়। বলে পানিতে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও বিভিন্ন আয়রন । মা মানবদেহে মানবদেহে ৭০% হলো পানি যা বেশিরভাগ ভূগর্ভ থেকে সংরক্ষণ করা হয়।
মুখে ডাবের পানির উপকারিতা
- মুখে ডাবের পানির আদ্রতা ধরে রাখে সাহায্য করে ।
- ব্রণমুক্ত পরিষ্কার ত্বক ডাবের পানিতে ব্যবহার করলে থাকে পটাশিয়াম যা ত্বকের লেভেলকে স্বাভাবিক রাখে।
- ডাবের পানির ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে দর্শনীয় সুন্দর করে তুলে।
- ত্বকের ত্বকের বরুণ দাগ দূর করে এবং বরুনের না হওয়ার জন্য সাহায্য করে
- মুখ মন্ডল মেস্তা ও কালো দাগ দূর করে।
- মুখে বা শরীরের বসন্ত বের হলে বের হলে ডাবের পানি ব্যবহার করলে বসন্ত দাগ ও বসন্ত অনেকটা ভালো হয়ে যায়।
- বসন্ত বা কালো মেস্তা মিস্টার দাগ ডাব ডাবের পানিকে ফ্রিজে আইস করে সে বড় দাগের ওপর কিছু কোন ঘষা দিলে সে দাগটা অনেক অনেকটা দূর হয়ে যাবে ।
- ডাবের পানি হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করে। একটি বাটিতে দুই চা চামচ ডাবের পানি, এক চা চামচ লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার তুলার বল ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ২৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করুন।
ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত মানবদেহে পানি পরিমাপ 70% । মানবদেহে প্রতিদিন গড় পানি পরিমাপ প্রয়োজন ৩থেকে ৪ লিটার । সাধারণত মানুষদের পানি পান করলে সকালবেলা বেশি উপকারিতা কারণ খালি পেটে পানি পান করলে শরীলের জন্য অনেক রোগ প্রতিরোধের বেশি উপকারিতা কাজ করে।তাই সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করলে অনেক উপকারিতা হয়। দিনে হোক বা রাতে হোক যে সময় হোক না কেন ডাবের পানি সব সময় উপকারিতা করে। তাই আপনার ডাবের পানি অনেক উপকারিতা ভরপুর কোন নির্দিষ্ট টাইম বা সময় নাই আপনি যখন খুশি ডাবের পানি পান করতে পারেন এতে আপনার উপকারিতা পাবেন।
ডাব ও নারকেলের মধ্যে পার্থক্য
ডাবলও ছোট অবস্থায় যখন গাছে থাকে তাকে বলা হয় ডাব এটা ছোট অবস্থায় অনেক গুণাবলী হয়ে থাকে যদিও ডাব আমাদের চারপাশে অনেক গাছে ধরে থাকে তার ছোট অবস্থায় যে পানি ও তার ভিতরের শ্বাসটা পাওয়া যায় সেটা মানব দেহে জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ভিটামিন পরিপূর্ণ।
আর নারকেল যখন প্রাপ্ত বয়স হবে তখন নারকেল বলা হয়। নারকেল পুষ্টিগণ থাকে না কিন্তু পানিতে ডাবের তুলনায় মিনারেল ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে না। নারকেলের ভিতরে সাদা অংশটুকু পরিপূর্ণ হয় এবং তাকে বলা হয় নারকেলের শ্বাস। ডাবের তুলনায় নারকেলের অনেক পুষ্টিগুণ কম থাকে। জন্য নারকেলের তুলনায় ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। নারকেল সাধারণত গ্রামাঞ্চলে ও বিভিন্ন শহরে পিঠা তৈরি করার জন্য নারকেলের শ্বাস দেন নানারকম পিঠা তৈরি করা হয়।
লেখকের মন্তব্য
ডাল পানি যেমন উপকারিতা আছে তেমনি তার কোন গুণাবলী অনেক ডাবের ডাবের ভিতরে যে সাহস থাকে সেটা অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টি ভরপুর । ডাবের পানিতে অনেক পুষ্টিমান ও মিনারেল পটাশিয়াম আছে যার শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা তাই সপ্তাহে দুই দিন ডাবের পানি সেবন করুন যাতে শরীর ও ত্বক সুন্দর থাকে।
যদি এ কন্টেন্ট আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা শেয়ার করবেন ও আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ ।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url