তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা


তুলসী পাতা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধে গাছ এই কাছে হাজার গুনে সম্বন্ধ ও ওষুধে গুণাবলী আছে এ গাছের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন উপকার হয়ে থাকে বিশেষ করে শিশু বা বৌদ্ধ বয়সে কাশি সর্দি তুলসী পাতা সেবন করলে অনেক উপকার হয়। তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা  হিসাবে অতি পরিচিত একটি কাজ।
তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা

 হিন্দু ধর্মাবলি এই তুলসী গাছ পূজা  ও পবিত্র মনে করা হয় । এর সাথে মানুষের অনেক উপকার করে থাকে । তুলসী গাছ অনেক গুণাবলী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।

ভূমিকা

তুলসী পাতা উপকারিতা প্রায় সব মানুষই জানে গ্রাম অঞ্চলে ও শহরগুলোতে তুলসী পাতার গুরুত্ব অনেক বেশি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ কিছু বলে বাসি হলে তুলসির পাতা ব্যবহার হয়ে থাকে ।
সে সাথে তুলসী পাতার প্রাচীন মানুষ বর্তমান মানুষ এর ব্যবহার তেমনটা জানে না তুলসী পাতা অনেক গুণাবলী ও অনেক ওষুধের কাজে করে থাকে মানবদেহে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা  হিসাবে অতি পরিচিত একটি কাজ।
ওষুধ হিসেবে তুলসিপাতার ব্যবহার হচ্ছে আদিকাল থেকে । এই পাতায় যে গুণাবলী আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। তুলসী পাতার মারাত্মক সব রোগ চিকিৎসা করে যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যদির । এটি নানা গুণে অনন্য বলেই হাজার বছর ধরে পরিচিত হয়ে আছে ওষুধের তালিকায়।

তুলসীপাতা আয়ুর্বেদিক ঔষধি   হিসাবে ব্যবহার

আয়ুর্বেদিক মতে তুলসীপাতা বিভিন্ন ব্যাধি ভালো করে। হার্টের অসুখ ইসকিমিয়ার চিকিৎসায় তুলসীপাতা ভালো কাজ দেয়। পাঁচবছর ধরে তুলসীপাতা নিয়ে গবেষনা করেছেন ডাঃ পি. জি. কুরুপ। তুলসীপাতা সেবনের কোন বাঁধাধরা নিয়মই নেই। যখন ইচ্ছা যতগুলি ইচ্ছা কাঁচাপাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়।তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা  হিসাবে অতি পরিচিত একটি কাজ।

তুলসী পাতায় চিকিৎসা

তুলসী পাতায় চিকিৎসা বনৌষধির মধ্যে তুলসী সর্বোৎকৃষ্ট বলে স্বীকার করা হয়েছে। ‘মেটেরিয়া মেডিকা'–তে এই গাছকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়েছে। তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা  হিসাবে অতি পরিচিত একটি কাজ।

দৈনন্দিন জীবনে তুলসীর পাতার ঔষধি গুণাবলী  

১। কাৰ্ত্তিক মাসে প্রতিদিন প্রাতঃকালে দু-তিনটি করে তুলসী পাতা খালিপেটে চিবিয়ে খেলে পুরো বছর কোন প্রকারের রোগ হবে না। কার্ত্তিক মাসের আবহাওয়ায় তুলসীপাতার প্রয়োগ সর্বদা দেহকে নীরোগ রাখে।
২। তুলসীর গন্ধ রক্তবিকার নাশ করে
৩। গোসল করার আগে তুলসীর কিছু পাতা পানিতে দিয়ে কিছুক্ষণ বাদে সেই পানিতে গোসল করলে কোনও প্রকার চর্মরোগ হয় না ।
৪। খাবারপানির পাত্রে তুলসী পাতা দিয়ে সেই পানি পান করলে উদর সংক্রান্ত কোনও রোগ হবে না।
৫। তুলসীর মালা, কণ্ঠী ধারণ করলে শরীর সর্বদা স্ফূর্তিময় ও সুস্থ থাকে ।
৬। তুলসী কামবাসনার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। কামশক্তিকে তো বৃদ্ধি করেই, কিন্তু সেটা সাত্বিক এবং সীমিত রূপে ।
৭। তুলসীপাতা চিবোলে দাঁতে পোকা লাগে না। দাঁত মজবুত, উজ্জ্বল হয় এবং দাঁতের আয়ু বৃদ্ধি হয় ।
৮। তুলসীপাতার রস নিয়ে মালিশ করলে হাড় শক্ত হয়, দেহ কান্তিময় হয়, দেহকে নীরোগ রাখে।সাবান, তেল, ক্রীম প্রভৃতির স্থলে তুলসীর রস প্রয়োগ করলে নানাপ্রকার দৈহিক সুস্থতা লাভ হয় ।

অধিক রজঃস্রাব  তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

অধিক রজঃস্রাব কিছু কিছু স্ত্রীলোকের মাসে ১০/১২ দিন রজঃস্রাব হয়ে থাকে কিংবা কিছু আগে পিছে হয়। এইরকম হলে তুলসীগাছের মূল তুলে চূর্ণ করে নিতে হবে। সাদা এবং মিঠে পানের সঙ্গে সেই চুর্ণ আধ চামচ দিয়ে খেতে হবে। এই রোগে তুলসী এবং পান একসঙ্গেই খেতে হবে। এইভাবে প্রায় একমাস খেলে অবশ্যই রোগ আরোগ্য হয়। তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা  হিসাবে অতি পরিচিত একটি কাজ।

আধকপালী তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

আধকপালী- এটি একপ্রকার মাথার যন্ত্রণা। এটি শুধুমাত্র মাথার অর্ধাংশে হয়ে থাকে। এতে রোগী খুবই কষ্ট পায়। এইরকম হলে- তুলসীর কচি মঞ্জরী নিয়ে ছায়াতে শুষ্ক করে নিতে হবে এবং অল্প পেষণ করে নিতে হবে। মাত্র ২ গ্রাম মাত্রায় নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। এই ভাবে ব্যবহার করলে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাবে।তুলসির পাতার ঔষধি গুণাবলী উপকারিতা  হিসাবে অতি পরিচিত একটি কাজ।

গাছ-গাছড়ায় রোগমুক্তি বা লতাপাতার হাজার গুণাবলী উপকারিতা

প্রাচীন কাল থেকে তুলসী পাতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ব্যবহার করে আসে। তুলসী গাছ মধ্যে প্রাচীনকালে মানুষটার ওষুধে গুণাবলী দ্বারা উপকৃত হয়ে । তুলসী গাছ ওষুধ দ্বারা যে গুণাবলী আছে তার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  প্রাচীন কালে অনেক গাছে ওষুধ চিকিৎসা করা হয় তার মধ্যে তুলসী গাছের তুলনা নাই বাড়ির আশেপাশে খুব সহজে ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তুলসী গাছের । বিভিন্ন ওষুধ নিচে উল্লেখ করা হলো:
 চক্ষু উঠা  তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

চোখ ওঠা একটি সংক্রামক রোগ। ঠাণ্ডা-গরমে ঘোরাফেরার ফলে এই রোগ হয়ে থাকে। এই অবস্থায় তুলসীপাতার রস চোখে কাজলের মতো লাগাতে হবে অথবা তুলসীপাতার রসে সামান্য মধু মিশিয়ে চক্ষুতে এক এক ফোঁটা দিতে হবে। এইভাবে দিলে চক্ষু উঠা, চোখে পানি পড়া প্রভৃতি আরোগ্য হয়।

কোষ্ঠকাঠিণ্য  তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

পেট পরিষ্কার অর্থাৎ পায়খানা পরিষ্কার না হলে, গলার মধ্যেও তার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, কাশি এং সেইসঙ্গে মাথা ভার হয়ে থাকে। এই অবস্থায় ২০ গ্রাম তুলসী পাতার সঙ্গে ৫০ গ্রাম গোলাপী ফিটকিরি চূর্ণ করে এক একটি মটরের মতো বটিকা তৈরী করে ছায়াতে শুষ্ক করে নিতে হবে। এবার এক-একটি বটিকা সকালে ও সন্ধ্যায় পানিসহ সেবনে কোষ্ঠবদ্ধতা, পায়খানার কষ্ট দূর হয়ে যাবে।

কুষ্ঠরোগ  তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

কুষ্ঠরোগ এই রোগ হলে, তুলসীর রস নিরন্তর সেবন করা আবশ্যক। যদি আঙুল গলে যায়, এবং হাড়ে পর্যন্ত আক্রমণ করে,তবুও তুলসীর রসের এমন শক্তি যে কুষ্ঠ নীরোগ করে দেয়। যদি শ্বেত কুষ্ঠ হয়, তাহলে তুলসীর ৫টি পাতা সকালে চিবিয়ে খেতে হবে। পাঁচটি পাতা দুপুরে এবং পাঁচটি পাতা সুর্যাস্তের আগে খেতে হবে বেশ কিছুদিন। তাতে উপকার হয়। তুলসীগাছের মূলের মাটির সঙ্গে তুলসীপাতা ঘষে দাগের ওপর প্রলেপ দিলে দাগ থাকে না ।

 গলিত কুষ্ঠ   তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

 গলিত কুষ্ঠ হলে তুলসীগাছের মূল এবং শুঁঠ চূর্ন গরম পানিসহ পান করবে। তুলসীপাতার রস ও মধু মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। যদি কুষ্ঠ খুব বেশী প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে তুলসীপাতার রস ও গোমূত্র একত্রে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় পান করতে হবে।

গর্ভরক্ষা তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

গর্ভাশয়ের গোলমাল হয়ে যদি গর্ভপাত হয়ে যায়, তাহলে তুলসীর বীজ ২৫ গ্রাম নিয়ে পেষণ করে কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে। মাসিক ধর্মের দিনগুলিতে এইভাবে তিন মাত্রায় ভাগ করে প্রত্যহ একবার করে তিনবার খাওয়ালে উপকার হয়।

 গর্ভ নিয়ন্ত্রণ তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

 গর্ভ নিয়ন্ত্রণ— তুলসী গর্ভনিরোধও করে থাকে। মাসিক ধর্ম শেষ হলে তুলসীর পাতা সিদ্ধ করে সেই ক্কাথ তিনদিন পর্যন্ত খাওয়ালে গর্ভ সঞ্চার হবে না।

যৌবন স্থিরীকরণ  তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

যৌবন স্থিরীকরণ পিপুলের মূল ২০ গ্রাম ও সমান মাত্রায় অশ্বগন্ধা, তোপচিনি, তাল মাখানা, নাগকেশর নিয়ে ১০০ গ্রাম তুলসীপাতার সঙ্গে সব একত্রে পেষণ করে, ২৫০ গ্রাম মধু মিশিয়ে আধ কিলো চিনি দিয়ে চাটনি তৈরী করে ঠাণ্ডা করতে হবে ।
এবার ওতে সব দিয়ে মিশিয়ে জয়িত্রী, ছোট এলাচ ও কেশর দশ গ্রাম পরিমাণে প্রত্যেকটি নিয়ে পেষণ করতে হবে। তারপর সব একত্রে মিশিয়ে একটি স্বচ্ছ কাঁচের পাত্রে রাখতে হবে। এটি হলো তুলসীর টনিক। শীতের দিনে প্রত্যহ ১০ গ্রাম সকালে চেটে খেয়ে ঈষদুষ্ণ গরম দুধ খেলে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয় ।

 দাঁতের বেদনা তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

 দাঁতের যন্ত্রণা খুবই কষ্টদায়ক। দাঁতের যন্ত্রণা হলে – তুলসীপাতা ও কালো মরিচ পেষণ করে বটিকা তৈরী করতে হবে এবং যে দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছে, তার তলায় চেপে রাখলে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যাবে।

দাঁতের পোকা তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

 দাঁতের পোকা তুলসীপাতার রসের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে তাতে তুলো ভিজিয়ে দাঁতের গোড়ায় রাখতে হবে।

পাথুরি  তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

এই রোগ হলে প্রস্রাবে কষ্ট দেখা দেয়। তলপেটে বেদনা দেখা দেয়। এই রোগ হলে রোগীকে এমনভাবে বসাতে হবে, যেন রোগীর নিম্নঅঙ্গ (কোমর থেকে) নীচু ভাবে থাকে। এবার তুলসীমঞ্জরীর ক্কাথ তৈরী করার জন্য আঁচে বসাতে হবে। 
তখন ক্কাথের পাত্রটি সহ রোগীর কোমরের নিচে রেখে ওপরে চাপা দিতে হবে। যেন রোগীর নিম্নাঙ্গে ভাপ লাগে। ভাপ যেমন যেমন মূত্রেন্দ্রিয়ের ওপর ছড়িয়ে পড়বে, সেই সেইরকম পাথুরি গলে পিচ্ছিল হয়ে মুত্রদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাবে। বিনা অস্ত্রোপচারে এই প্রয়োগের সাহায্যে পাথুরি বেরিয়ে যায়।

জন্ডিস তুলসির পাতার হিসাবে ব্যবহার

জন্ডিস দেহে রক্ত কম হলে এই রোগ হয়। সারা দেহ হলুদবর্ণ হয়ে যায়। একে ন্যাবা ও ইংরাজীতে জণ্ডিস রোগ বলে। মুলো এবং তুলসী রক্তাল্পতা দুর করতে সর্বশ্রেষ্ট তুলসীর রস ১০ গ্রাম এবং ৫০ গ্রাম মুলোর রস একত্রে মিশিয়ে, তাতে গুড় মিশিয়ে খেলে আরোগ্য হয়। একমাস পর্যন্ত প্রত্যহ দিনের বেলা তিনবার খেতে হবে।তুলসীপাতা ৩ গ্রাম পুনর্নবার মূল ৩ গ্রাম, দুটি একত্রে পেষণ করে ৫০ গ্রাম পানিতে গুলে সেবন করতে হবে। দেহে রক্তাল্পতার জন্য হলদে বর্ণ হলে, তা দূর হবে। রোগীও সুস্থ হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রাচীনকাল  বিভিন্ন রোগের ওষুধি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তুলসী গাছ অতি গুরুত্বপূর্ণ এ গাছটিতে বহুগুণ ওষুধে গুণাবলী আছে এর সাথে বিভিন্ন মানুষের ব্যবহারিক জিনিসপত্র এর মাধ্যমে পাওয়া যায় প্রাচীনকাল থেকে ঔষধি গুণাবলী হিসাবে মানবদেহে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আমরা দেখে আসছি ।

তুলসী গাছের গুণাবলী উপরে বিভিন্ন চিকিৎসার ব্যবহার এর উল্লেখ করা হয়েছে যদিও আজকাল গাছামো ওষুধ তেমনটা ব্যবহার হয় না তার সাথেও যদি কেউ উপরের দেশগুলো ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন আশা করছি।যদি এ কন্টেন্ট আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা শেয়ার করবেন ও আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url