চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায়
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল উৎস। কিন্তু অতিরিক্ত স্বাস্থ্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিকন স্বাস্থ্য পেতে হলে না খেয়ে থাকা যাবে না। প্রতিদিনের খাতা তালিকায় পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে সময় মত। পুষ্টিগুণ বজায় রেখে সময় মত খাবার খেতে হবে।
ভূমিকা
দৈনন্দিন জীবনে মানুষের সুস্থ শারীরিক মন খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ । চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপকরণ গুলো মানুষ দৈনন্দিন জীবনে তাদের শরীর ঠিক রাখার জন্য নানা রকম উপায় ব্যবহার করে থাকে । প্রাকৃতিক নিয়মে শারীরিক সৌন্দর্য শরীর ও সুন্দর মন সাথে চিকন ও সুস্বাস্থ্য অধিকারী হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক ভাবে নানা রকম উপায় ব্যবহার করতে পারেন আপনি ও সুস্থ মন শারীরিক সুন্দর মন চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় অধিকারী হতে পারেন ।
চিকন হওয়ার উপায়
অনেকেরই ধারণা না খেয়ে থাকলে চিকন হয়ে যাই কিন্তু আসলে এটা ভুল। কারণ না খেয়ে থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে অসুখ-বিসুখ হতে পারে। চিকন হওয়ার জন্য পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে প্রতিদিন জন্য আর সেটা সময়মতো।
ফল এর ব্যবহার
কাঁচা ফল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো যেমন গাজর, টমেটো, শসা, মালটা কমলা নাশপাতি আঙ্গুর স্ট্রবেরি ক্যাপসিকাম, পেয়ারা, জাম, লিচু মনে রাখতে হবে ফল খেলে শরীর ভালো থাকে তেমনি শরীর ঠিক থাকে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে তাই কি কোন স্বাস্থ্য পেতে হলে বেশি বেশি ফল খেতে হবে।
লেবু এর ব্যবহার
চিকন স্বাস্থ্য পেটে হলে লেবু অপরিহার্য। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে হাফ গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে সেটা খেতে হবে। যা শরীরের ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে।চিকন হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেবু।
শাক-সবজি এর ব্যবহার
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকন স্বাস্থ্য পেতে হলে শাকসবজি অতিরিক্ত তাপের সেদ্ধ করা যাবে না কারণ অতিরিক্ত তাপ সবজির গুনাগুন নষ্ট করে দেয় পুষ্টিগুণ বজায় থাকে না। তাই সবজি অতিরিক্ত সেদ্ধ না করে অল্প আছে রান্না করে খেতে হবে। আর প্রতিদিনের খাতা তালিকায় সবজির পরিমাণটা বেশিই হতে হবে যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা,, পুঁইশাক, লাউ কচু শাক সজনে পাতা, সজনে ডাটা, মিষ্টি কুমড়া বরবট, সিম, ইত্যাদি।
শর্করা জাতীয় খাদ্য এর ব্যবহার
সরকারের প্রধান উপাদান হলো ভাত, রুটি ভাতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে অতিরিক্ত ভাত খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় জাতীয় খাদ্য খেতে হবে তাই কি কোন স্বাস্থ্য পেতে হলে অতিরিক্ত ভাত পরিহার করতে হবে পরিমাণ মতো সরকার জাতীয় খাদ্য খেতে হবে ।
নিয়মিত ব্যায়াম
শরীরকে ঠিক রাখতে হলে এবং চিকন রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম থেকে উঠেই গার্ডেন কিংবা বাড়িতেই ব্যায়াম করতে হবে হাঁটাহাঁটি করতে হবে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে কিংবা বল খেলা যেতে পারে যা স্বার্থে জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং শরীর ঠিক রাখতে সহায়তা করে তেমনি চিকন রাতে ভূমিকা পালন করে।
অতিরিক্ত ঘুমানো
অতিরিক্ত ঘুম চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় অনেক ক্ষতিকর । যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি মানুষকে মোটেও করে দেয় তাই অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না পরিমিত ঘুমাতে হবে । একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৬ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। পূর্ণবয়স্ক বলতে এখানে ২৫ বছর। কিশোর-কিশোরদের জন্য ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম অত্যাবশক। চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় পেতে হলে অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে ।
সময় মত খাবার খাওয়া
অনেকেরই ধারণা খাবার না খেয়ে থাকলে মানুষ চিকন হয়ে যায় কিন্তু এটি শরীরের জন্য অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। খাবার খেতে হবে প্রতিদিনই সেটা সময় মত অনেকেই সকালের খাবার দুপুরে খেয়ে থাকে কিন্তু এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
তাই সময় মত খাবার খেতে হবে চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় পেতে হলে অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে সময় মত খাবার খাওয়া। কিন্তু সেটা পরিমাণ মতো।
চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিহার
রান্না করার তরকারিতে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। চর্বি যুক্ত খাদ্য না খাওয়াই ভালো। চর্বিযুক্ত খাদ্য মানুষকে মোটা করে দেয় তাই শরীরে ফ্যাট কমাতে হলে তো দুটো খাদ্য পরিহার করতে হবে।
ফাস্টফুড না খাওয়া
ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হলেও এগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি তেমনি প্রচুর ফ্যাট থাকে যেমন পিজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, সেভেন আপ, বাইরের আরো অন্যান্য জাতীয় খাবার। শরীরকে চিকন ডাক্তার গেলে ফাস্টফুড খাদ্য পরিহার করতে হবে।
সুষম খাদ্য
দৈনন্দিন জীবনে মানুষের যে খাবারের মধ্যে সুষম খাদ্য বিদ্যমান থাকে এবং সঠিক পরিমাপ ভিটামিন আইরন ক্যালসিয়াম পুষ্টি সকল উপাদান যে খাবার মধ্যে থাকে সেটাই সুষম খাদ্য বলা হয় ।
সুষম খাদ্যের উপাদান ছয়টি
শর্করা,আমিষ , স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। সময় মত খাবার পুষ্টিগুণ বজায় রেখে প্রতিদিন খাবার খেতে হবে।
মেনু তৈরি
দৈনন্দিন জীবনে মানুষের খাদ্য তালিকা অভ্যাস নির্দিষ্ট সময় খাদ্য গ্রহণ করে হবে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে নির্দিষ্ট পরিমাপ তার সময় খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরটা অনেক চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় অধিকারী হতে পারেন ।
রুটিন অনুযায়ী খাবার খাওয়া
চিকন স্বাস্থ্য পেতে হলে খাদ্য তালিকার মধ্যেও সময় মত খাবার এবং খাবারের একটি মেনু কার্ড তৈরি করে নিতে হবে।
সকালের খাবার
সকালের খাবার হতে পারে সাতটা থেকে আট টার মধ্যে ফলমূল এবং শাকসবজি, সাথে পরিমাণ মতো রুটি।
দুপুরের খাবার
দুপুরে খালতালিকায় থাকতে হবে পরিমাণ মতো ভাত, সবজি এবং অটো পরিমানে আমেশও থাকতে পারে। দুপুরে পেট ভরে ভাত খাওয়া যেতে পারে।
রাতের খাবার
আটটা থেকে দশটার মধ্যে খাবার খেতে হবে। রাতে খাবারের পরিমাণটাও কম হতে হবে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
থাইরয়েড সমস্যা
হরমোন জনিত থাইরয়েডের সমস্যা কারণে মোটা হয়ে যেতে পারে তো সে ক্ষেত্রে৷ একবার মোটা হয়ে গেলে তা কমানো অনেক কঠিন তাই ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে।
স্নেহ বা আমিষ জাতীয় খাদ্য অতিরিক্ত না খাওয়া
দুধ , ডিমের কুসুম , মাংস, অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। তাছাড়াও অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে। ওজন কমাতে এবং শরীর ঠিক রাখতে হলে না খেয়ে থাকা যাবে না। কারণ নাকে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হতে পার।
তাই সত্যকে বাঁচার জন্য এবং চিকন হতে হলে সময় মত এবং পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে কিন্তু শাকসবজি ফলমূলের পরিমাণটা বেশি খেতে হবে। যার শরীর ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
তাই চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় পেতে হলে অতিরিক্ত না ঘুমানো সময়মতো খাবার খাওয়া, আর যুক্ত খাবার পরিহার করা ফাস্টফুড পরিহার করা সবজি বেশি বেশি খাওয়া ফলমূল বেশি খাওয়া, পরিমিত ব্যায়াম, পরিমিত ঘুম ।
লেখকের মন্তব্য
এই পোস্ট থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় গুরুত্ব অনেক । চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় মানবদেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তাই এই উপরের টিপস গুলো যদি আপনা অনুযায়ী ব্যবহার করলে । তাহলে আপনার সুন্দর চিকন স্বাস্থ্য ও শরীর ঠিক রাখার উপায় অধিকারী হতে পারবেন।
আশা করি আপনারা আমার এই পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আমার এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মী স্বজন ও অন্যান্যদের কাছে শেয়ার করুন যাতে তারা ও পড়ে উপকৃত হয় ধন্যবাদ।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url