রসুন খাওয়ার উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে তোরই তরকারি সাথে মশলা হিসেবে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ব্যবহার করে থাকে আর মসলার মধ্যে রসুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
আমরা বিভিন্ন সময় রসুন নানা রকম ব্যবহার করে থাকে । আমাদের বিভিন্ন কাজে রসুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো দখল করে আছে । আসুন আমরা রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করি ।
ভূমিকা
দৈনন্দিন জীবনে রসুন ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ মানুষ বারোমাস রসুন ব্যবহার করে থাকে এর গুরুত্বপূর্ণ অনেক এর সাথে রসুনের বিভিন্ন উপকারিতা ও ওষুধি কাজে ব্যবহার করা হয় । শীত বসন্ত বর্ষা এমনকি বারো মাস বিভিন্ন সময়ে রসুনের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায় তাই এক কথায় বলা যায় যে রসুন খাওয়ার উপকারিতা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মসলা যাতে উদ্ভিদ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিচে উল্লেখ করা হলো ।
রসুন খাওয়ার উপকারিতা
মানব দেহের বিভিন্ন উপকারে রসুন একান্ত প্রয়োজনীয় এর সাথে ওষুধে গুণে কাজ করে । রসুন দুইপ্রকার (১) বহুকোষী রসুন, যার বোটানিক্যাল নাম Allium Sativum linn.
এককোষী রসুন ব্যবহার
যার বোটানিক্যাল নাম Allium Ampeloprasum linn. এককোষী রসুনের উপকার বেশী। রসুনে আছে ভিটামিন A.B.C.D. ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, আয়ো উন, এবং উগ্রশক্তির জীবানুনাশক ৬টি শক্তি। কয়েকবছর পূর্বে রসুনকে কেন্দ্র করে একটি সিমপোজিয়াম বা আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া শহরে। এই আলোচনা চক্রে বিশ্বের রসুন বিশেষজ্ঞ বৈজ্ঞানিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রসুন ওষুধি উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা
এক এক দেশে এক একটি বিশেষ রোগের উপর তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। তাতে জানা যায়— ব্যহ্যপ্রয়োগে সর্বপ্রকার ফোঁড়ায়, বোলতা এবং বিছার কামড়ে রসুন প্রয়োগে ভাল ফল পাওয়া যায়।আভ্যন্তরিন প্রয়োগে — ধমনীর সঙ্কোচনে (arteriosclerosis) কোষ্ঠবদ্ধতায়, হাতে পায়ে খিল ধরায়, ইনফ্লুয়েঞ্জায়, সর্দিকাশির প্রবনতায়, হাঁপানিতে, গলাবুক জ্বালায়, অগ্নিমান্দ্য, অন্ত্রপ্রদাহ, পিত্তথলীর পাথুরী, হাই ব্লাড প্রেসারে, অর্শরোগে, যকৃত দোষে, ক্ষয়রোগে, গলগন্ডে, কৃমিতে, হুপিংকাশিতে, বমিতে, বুকধরফড়ানিতে প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া গেছে ।
রসুন খাবার নিয়ম
(১) ঘিয়ে বা তেলে ভেজে শাক কিংবা তরকারীর সাথে খাওয়া যায় ।(২) আটা বা ময়দার সাথে রসুন বেটে রুটি বা লুচি করে খাওয়া যায় ।
(৪) গরম দুধের সাথে রসুন বাটা খাওয়া যায়।
(৫) কাঁচা রসুন বা রসুন সিদ্ধ করে আহারের প্রথম গ্রাসের সাথে খাওয়া যায়।
রসুনের দুর্গন্ধ দুর করার উপায়
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে টক দইয়ের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে পরদিন খাবার আগে পানিতে ধুয়ে নিয়ে খেলে গন্ধ লাগবে না ও খাদ্যগুন বজায় থাকবে।বিভিন্ন রোগে রসুনের ব্যবহার
(১) বাতের বেদনায় – প্রতিদিন ১ কোয়া রসুন গরম ভাতের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে হবে। এছাড়া ৫০ গ্রাম সরষের তেলে ১০ কোয়া রসুন ভেজে সেই তেল দিনে দুবার করে মালিশ করতে হবে আক্রান্ত যায়গায় ৷(২) অকালবার্দ্ধক্য রোধ— প্রতিদিন ২ কোয়া করে রসুন ভেজে বা বেটে তরকারীর সাথে বা আটা, ময়দা, ছাতুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
(৩) যৌবন শক্তি ধরে রাখার জন্য – প্রতিদিন ২ চামচ আমলকির রস এবং ২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খেতে হবে অন্তত দুমাস। এই ব্যবস্থা স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ।
(৪) পেটের বায়ুতে— ১ কাপ ঠান্ডা পানিতে ৩/৪ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে প্রতিদি। সকা খেতে হবে।
(৫) শরীর ক্ষয়ে— এককাপ দুধে ২ কোয়া রসুন সিদ্ধ করে সেই দুধ খেতে হবে প্রতিদিন। এতে ক্ষয় বন্দ হয়ে শরীরের শক্তি ও ওজন বৃদ্ধি হয় ।
(৬) শুক্রতারল্যে— এককাপ গরম দুধের সাথে ২ কোয়া রসুন বাটা খেলে শুক্রতারল্য দূর হয়। অস্থির বল বাড়ে । অস্থির ক্ষয় বন্ধ হয়।
(৭) পুরনো ঘা বা ক্ষতে– ২/৩ কোয়া রসুন বেটে ক্ষতে লাগাতে হবে পর পর কয়েকদিন ।
(৮) গরুমহিষের ঘা এবং ঘা-এর পোকায়- ৫/৬ কোয়া রসুন বেটে ক্ষতে লাগাতে হবে পর পর কয়েকদিন
(৯) পায়ের তলায় গুপো বা কড়াতে রসুনের ১টি কোয়া আধখানা করে কেটে কড়ার ওপর লাগিয়ে লিউকোপ্লাষ্ট দিয়ে আটকে দিতে হবে। এভাবে পর পর কয়েকদিন করলে কড়া সেরে যাবে।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url