পা ফাটার কারণ ও প্রতিকার
মানব দেহ শরীরের মূল অংশের ভিতরে পা একটু গুরুত্বপূর্ণ । মানুষ দৈনন্দিন চলাফেরা জন্য পায়ের সাহায্যে ব্যবহার করে । আমরা দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা করে থাকি আমাদের পা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।
পায়ের অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে পা ফাটা , পায়ের গোয়ারি ফাটা , পা দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকতে পারে সেগুলো প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো আশা করি আপনি সুন্দর ও আকর্ষণীয় পা পেতে পারেন
ভূমিকা
পা ফেটে যাওয়া একটি রোগ। সঠিকভাবে পায়ের যত্ন এবং পরিচর্যা না করলেও পা ফেটে যেতে পার। প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ত তায় আমরা পায়ের যতই ভুলে যাই।
পায়ে লেগে থাকা ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে তা আরো গভীরভাবে পা রুক্ষ ও অসুন্দর করে ফেলে। তাই পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে এবং তাকে সুস্থ রাখতে সঠিক যত্ন উপর চর্চা করতে হবে।
পা ফেটে যাওয়ার কারণ
যে কয়েকটি ভুলের কারণে পা ফেটে যায় :
- ধূলা ময়লা
- আবহাওয়া জনিতকরণ
- কম পানি পান করা
- ভিটামিন বি ও সি এর অভাব
- শুষ্ক ত্বক
- পেডি কেয়ার না করা
- ভালো মানের জুতা ব্যবহার না করা
- পা ফাটা একটি রোগ
যে ভুলের কারণে পা ফেটে যায়
প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততাই হাটা চলাই পায়ে অনেক ধুলা ময়লা জমে থাকে। সঠিক ভাবে ময়লা পরিষ্কার না করলে কিন্তু পা লেগে থাকা ময়লা হেঁটে যাওয়া জায়গায় আরো বেশি ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এবং আরো বেশি পা ফেটে যেতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করেই সঠিকভাবে যত্ন না নিয়া ফাটার প্রধান কারণ। তাছাড়া ভিটামিন বি১, বি ২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, অভাবজনিত কারণেও পা ফেটে যায়।
পা ফাটা প্রতিরোধের উপায় ১০ টি উপায়
পা ফাটার বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকতে পারে তার মধ্যে এ ১০ টি উপায় যদি ব্যবহার করে থাকে তাহলে অনেক উপকারিতা হবে আশা করি এই উপকারিতা আপনার পা ফাটা অনেকটা দূর করে দিবে
গরম পানির ব্যবহার
একটি বাটিতে শ্যাম্পু এবং সামান্য গরম পানির নিয়ে পা তার মধ্যে দশ থেকে পাঁচ মিনিট পা ভিজে রেখে ভালোভাবে নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
লেবুর রস
লেবুর রস, বেকিং সোডা ও গরম পানি পানি হালকা গরম করে তার সাথে লেবু ফালি , বেকিং সোডা মিশিয়ে সামান্য একটু লবণ দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে ৷ এটি পা করে গভীর থেকে পরিষ্কার এবং সুন্দর।
ভিটামিন বি টু, সি ও ই ক্যাপ এর ব্যবহার
ভিটামিন সি পাওয়া যায় পেয়ারা, গাজর, বি টু, ভিটামিন ই ক্যাপ ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য বেশি খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে কলা খেতে হবে ।
প্রচুর পরিমাণে পানি
প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি পান করলে কারণে শরীর সুস্থ থাকে। মানুষ জনের দিন জীবনের পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সে পানি নিয়মিত পান করলে শারীর মন ও বিভিন্ন অংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্দর থাকে সে এর জন্য পানির অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর পানির মানবদেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ মানবদেহে 70% মানবদেহে পানি রয়েছে ।
ভালো মানের জুতা ব্যবহার
বাইরে হাঁটাচলা করার সময় ভালো জুতা ব্যবহার করতে হবে যাতে পায়ে ধুলাবালি না লাগে কারণ ফেটে যা পায়ে ধুলাবালি গেলে আরো বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পা সুন্দর করতে হলে ভালো মান জুতা ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
গোলাপ জল গ্নিসারিনের ব্যবহার
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরিষ্কার করে পা ধুয়ে তা নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে এবং গ্লিসারিন ও গোলাপজল দিয়ে ঘুমে যেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা সুন্দর করে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে তাতে পায়ে ধুলাবলা না লাগে।
ভাসলিন ব্যবহার
ভেসলিন সামান্য একটু পানির সাথে মিক্স করে পায়ে দিয়ে রাখলেও পান নরম থাকে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
নারকেল তেল ও অলিভিয়া তেল ব্যবহার
যাদের পা অনেক শুষ্ক থাকে অলিভিয়া তেল পায়ে ব্যবহার করতে পারে কিন্তু অলিভিয়াতে অথবা নারিকেল তেল ব্যবহার করা অবস্থায় ধুলাবাড়ির মধ্যাহেলা করা যাবে না কারণ এতে আরো বেশি ধুলাবালি ময়লা পায়ে জমে যায় তাই সঠিকভাবে পায়ের যত্ন নিতে হবে ।
নিম পাতার ব্যবহার :
নিম পাতা পরিষ্কার করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে কোন ময়লা লেগে না থাকে এবং অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে নিম পাতা দিয়ে সেদ্ধ হতে হবে পানের রঙ যখন সবুজ হবে । চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে তা ঠান্ডা করতে হবে যেন অল্প অল্প আর সেই হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ৫ মিনিট।
সঠিক যত্ন পরিচর্যা
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় পায়ের উপরে অনেক চাপ থাকে তাই সঠিকভাবে পায়ের যত্ন নিতে হবে পা রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পেডিকেল করলেই পাস সুন্দর থাকবে পা পেটে দশ কমে যাবে।পা ফাটা একটি রোগও। দীর্ঘদিন ধরে পাপা টা ভালো না হলে পা থেকে রক্ত পড়লে তাই প্রচন্ড ব্যথা হলে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url