ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার



আমাদের বাড়ি চারপাশে বাড়ি আশেপাশে বিভিন্ন নদনামা খাল বিল ময়লা আবর্জনা থেকে যে মশা বা লাভা পাওয়া যায় সেটা হল ডেঙ্গুর আবাসস্থল । প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হয়েছে ডেঙ্গু  প্রাথমিক যে বাস স্ট্যান্ড তৈরি করে সেটা হল বিভিন্ন পানিতে ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন প্লাস্টিকের জমে থাকা পানি ডাবের খোসা ও জমে থাকার বিভিন্ন নদনদী ময়লা পানিতে মশা যে লাভা পাওয়া যায় সেটা টেঙ্গুর প্রাথমিক আবাসস্থল এছাড়াও এসব বাড়ি আশেপাশে ময়লা বা জঙ্গল থাকলে সেখানে এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয় ।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ভূমিকা

এডিস মশার কামড়ে যে সংক্রমণ হয় সেটা প্রাথমিক ডেঙ্গু বলা হয় এই মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরের যে প্রাথমিক লক্ষ্য গুলো দেখা যায় সেটা স্বাভাবিক অবস্থায় প্রথমে জ্বর সর্দি ডায়রিয়া মাথাব্যথা শরীর ব্যথা ইত্যাদি হয়ে থাকে কোন দিন পরে সেটা লক্ষ্য নিয়ে অবস্থা চলে যায় এবং সেই লক্ষণীয় অবস্থা যেটা হলো ডেঙ্গু জ্বর বিভিন্ন ডাক্তার বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে থাকে এর প্রাথমিক অবস্থায় যদি সাত দিনের বেশি জ্বর থাকে তাহলে তাকে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেওয়া হয় এই ডেঙ্গু পরীক্ষায় যদি সে পজিটিভ হয় তাহলে তাকে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত বলে ঘোষণা করা হয় আর ডেঙ্গু চিকিৎসা শুরু করা হয়।

ডেঙ্গু রোগীর লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগীর লক্ষণ প্রাথমিক অবস্থায় রোগের তীব্র ঝড় আসবে এবং সে জ্বর থাকবে ১৫ দিন বেশি স্বাভাবিক ওষুধ এ জ্বরে কাজ করবে না। জ্বরের পাশাপাশি রোগের শরীর ব্যথা পাতলা পায়খানা কাশি ও তীব্রজর আসবে। মাথা ঘুরে ,বমি , শরীর বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা করে মাথা ঘুরে শরীর দুর্বল হয়ে যায়   এর সাথে ডায়রিয়া ইত্যাদি লক্ষ্য দেখা যায়।

ডেঙ্গু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রাথমিক অবস্থায় রোগের স্বাভাবিক জ্বর আসবে এবং এর সাথে সরলর ব্যথা পাতলা পায়খানা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে । প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।যদি রোগীর উপরে লক্ষণ গুলো দেখা যায় আর তীব্র জোয়ার যদি হয়ে থাকে তাহলে ভর্তি করতে হবে আর ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

ডেঙ্গু রোগীর করণীয়

রোগী প্রাথমিক অবস্থায় শরীরের পানি পরিমাপ কমে যায়। এই সময় তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে রোগে বেশি খাওয়াতে হবে আর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এর সাথে রোগীকে ডাব , যে ফলে পানি যাতে বেশি উপস্থিত সে ফল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। রোগীকে মশারি মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে অন্য কোন রোগের স্পর্শ আসতে দিতে হবে না। যদি রোগীর একটি মশা কামড় দেয় ওই রোগী সুস্থ মানুষ ওই মশা কামড় দিলে সেই মানুষের সংক্রমণ হওয়ার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে ।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার লক্ষণ গুলো প্রকাশ হলে তা প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিকেলে ভর্তি করতে হবে ।

টাইফয়েড ও ডেঙ্গু রোগের মধ্যে পার্থক্য

প্রাথমিক অবস্থায় ডেঙ্গু রোগীকে টাইফয়েড বলে অনেকে ভুল ভাবতে পারেন কারণ টাইফয়েড রোগের পার্থক্য সামান্য পরিমাণ টাইফয়েড রোগের জ্বর থাকে ১৫-১৬ দিন এর সাথে ডেঙ্গু রোগীর জ্বর থাকে ষোল দিন। যদিও রোগের স্বাভাবিক অবস্থা থাকে না ডেঙ্গু হলে অনেক লক্ষণীয় প্রকাশ হয়ে যায় যেমন শরীরে অতিমাত্রায় জ্বর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া শরীরের চলন শক্তি ইত্যাদি রক্ষণে পাওয়া যায়। 
টাইফয়েড এর বহু প্রকাশ পাওয়া যায় । ট্যাংগো টাইফয়েডের প্রায় একই লক্ষণীয় দেখা যায় কিন্তু রোগের ডেঙ্গু হলে ডায়রিয়া হয় এর সাথে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে শরীর ব্যথা গাছ ব্যথা চলন শক্তি ও পানি পরিমাপ একবারে কমে যায় রক্তের হিমোগ্লোবিন পরিমাপও কমে যায় এটাই বড় লক্ষণ। আর টাইফয়েড হলে রোগীর হয় না কিন্তু কোন কোন রোগের তীব্র জ্বর থাকে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। রোগের টাইফয়েড বা ডেঙ্গু যাই হোক না কেন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

ডেঙ্গু রোগীর হিমোগ্লোবিন কমে যাবে

ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক অবস্থায় স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে কিন্তু যতদিন যাবে রোগীর অস্বাভাবিক হারে ব্লাড থেকে হিমোগ্লোবিন পরিমাপ কমে যাবে সেইসাথে রোগীর ব্লাড না দেওয়া হলে রোগী মারা যেতে পারে। সেজন্য রোগীকে ডাবের পানি ও বিভিন্ন ফলমূল খাওয়াতে হবে এবং সাথে ডেঙ্গু রোগ দেখা দিলে রোগীর ব্লাড গ্রুপের ম্যাচ করে এক ব্যাগ ব্লাড সংগ্রহ করে রাখতে হবে তাহলে অনেকটাই প্রয়োজনীয় ব্যবহার করতে পারবেন।

ডেঙ্গু রোগী ডায়রিয়া লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগীর ডায়রিয়া অনেকটা বেড়ে যায় । এবং সেইসাথে রোগীর পানির মাপ অনেকটা হাস পায়। এবং রোগীকে স্যালাইনের পাশাপাশি ডাবের পানি ও তরল তরল খাবার পানি জাতীয় ফল যেমন ডাব আপেল পেয়ারা আনারস ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন এর সাথে দাড়ি আর প্রভাবটা অনেকটা কমে যাবে কারণ ডায়রিয়া হলে পানির শূন্যতা লক্ষ্য করা যায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

ডেঙ্গু শঙ্খমণ করণীয়

বর্তমান বাংলাদেশে ও প্রায় পৃথিবীর সকল দেশে ডেঙ্গু রোগীর লক্ষণ দেখা দিচ্ছে এর সাথে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যুহার ও বাড়ছে বর্তমান বাংলাদেশের এ পরিমাপ বেশি। যদিও সরকারের নানা উদ্যোগের মাধ্যমে অনেকটা কমে যাচ্ছে ।

ডেঙ্গুর প্রভাব বিষয়ে  সংক্রমণ হয়  

  • বাংলাদেশের যে হারে জনসংখ্যা ও কলকারখানা বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে ডেঙ্গুর প্রভাব লক্ষণ করা যায়। এবং ডেঙ্গুর প্রভাবে শহর থেকে গ্রামে সংক্রমণ হচ্ছে । এরসাথে বাংলাদেশ ও তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলো প্রভাব লক্ষণ করা যাচ্ছে । বাংলাদেশের সংক্রমণের খাওয়া অনেক বেশি বর্তমান ঢাকাতে ডেঙ্গুর প্রভাব অত্যন্ত শহরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রমণের কারণে ডেঙ্গু লাভা ও তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যদিও বাংলাদেশের সরকার ও ডেঙ্গুর বিষয়ে অনেক সচেতনামূলক বিষয় প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
  • বড় সমস্যা কলকারখানার বজ্র পদার্থ বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে খাল বিল ও নদীর থেকে পানি দূষণ করছে এর সাথে বুড়িগঙ্গা নদীর ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ জীবন মানুষের উপর। বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে অতিমাত্রায় দূষণ কারণে সেখানে এডিস মশা এ লাভা লক্ষ্য করা যায়।
  • বুড়িগঙ্গা নদী দেখতে এখন কালো ও ময়লা যুক্ত পানি কারণে সাধারণ মানুষের জীবনধারা ও স্বাভাবিক নদীর ভারসাম্য অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে এর কারণ হলো কলকারখানার বজ্র পদার্থ ও ঢাকার অতিমাত্রার জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে বুড়িগঙ্গা নদী আজ মৃত প্রায়।

  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম অঞ্চল গুলো অনেক দালানকোঠা তৈরি হয়েছে এর সাথে পরিবেশ ও আবহাওয়ার জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। সে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের তাপমাত্রা অনেক হারে বাড়ছে এর সাথে এসি ব্যবহারে তুলনা মূলক ভাবে ব্যবহার বাড়ছে। এশিয়ার থেকে যে পানি বের হয় সেটা বিভিন্ন স্থানে জমা হয় আর সেই জমা থেকে এডিস মশার লাভা পাওয়া যায় এবং সেই লাভার ধ্বংস না করলে এডিস মশা জন্ম লাভ করে ।

  • ডাবের খোসাতে পানি জমলে সেই পানির জমে থাকলে সেখানে এডিস মশা ডিম পাড়ে এবং মশা এডিস মশা লাভ করে এই মশা এই লাভার যদি ধ্বংস না করা হয় তাহলে এদের সমস্যা জমা লাভ করে।

  • আপনাদের বাড়ি চারপাশে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র যেমন বালটি গামলা ভাঙ্গা বিভিন্ন জিনিসপত্র পরিত্যক্ত হিসেবে ফেলে রাখা হয় এবং সেই সাথে এই পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পানি জমে থাকলে সে জমা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে এবং সেই সে ডিম থেকে এরিস মশা জনলাভ করে এবং এতে ডেঙ্গু মশা উৎপাদন হতে পারে।


  • বিভিন্ন কলকারখানা মধ্যে যেমন গাড়ির চাকাতে পরিত্যক্ত গাড়ির চাকাতে ও বিভিন্ন আসবাবপত্রতে বৃষ্টির পানি বা অপরিতক্ত পানি জমে থাকলে সেখানে ডেঙ্গু মশার আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত লাভ করে এই যদি ধ্বংস না করা হয় তাহলে সেখান থেকে এডিস মশা বা ডেঙ্গু জন লাভ করে ।
  • আমাদের চারপাশে যে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে তার মধ্যে পরিত্যক্ত বিভিন্ন পলিথিন ও ঠিক সে প্যাকেট বিভিন্ন পরাধীন এর মধ্যে পানি জমে থাকলে সে পানি থেকে ডিম পাড়ে এবং সেই ডিম থেকে জন্ম লাভ করতে পারে।
  • বিভিন্ন দেশের বড় বড় শহরে ড্রেন ব্যবস্থা মাধ্যমে এ লাভা উৎপাদন হয়ে থাকে । এটা প্রধান কারণ অন্য অন্যতম ড্রেন নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকলে সেখান থেকে  জন্ম লাভ করতে পারে । সেই ড্রেন থেকে প্রতিবছরে এডিস মশা লাভা পাওয়া যায় এদিকে লক্ষ্য রাখলে অনেক অংশ লাভা ধ্বংস করা যায়।

এডিস মশার লাভা ধ্বংস করনীয়

আমাদের চারপাশে বিভিন্ন পরিত্যক্ত আজব পত্র ও অজানা জিনিসপত্র তে বৃষ্টি পানি ও ময়লা আবর্জনা পানি জমে থাকলে সেখানে ব্লিচিং পাউডার বা কেরাসিন দিয়ে এডিস মশা লাভা দূর করা যায়। যদিও সরকারের বিভিন্ন পৌরসভা উপজেলা ও শহর বিভাগে নানারকম ওষুধের এডিস মশা ও এ লাভা ধ্বংসর অধ্যক্ষ গ্রহণ করেছে।
সে সাথে জনসাধারণের নিজের নিজের থেকে সাত দিনে একদিন জমা থাকা পানি ফেলে দিন এই শ্লোগান দিয়ে বিভিন্ন পরিত্যাক্ত পানি ও ময়লা আবর্জনা পানি পরিত্যক্ত বা এমন জায়গায় ফেলতে হবে যেখানে পানি জমি না থাকে এই বিষয় টা লক্ষ্য করলে অনেকাংশ এডিস মশা এডিস মশা ধ্বংস করা যায় ।

ব্লিচিং পাউডার ও কেরোসিনের ব্যবহার

ব্লিচিং পাউডার ও কেরাসিন ব্যবহার করে অধিকাংশে ময়লা পানি ও পরিত্যক্ত পানিতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করলে ।সেখানে মশা লাভা ও অন্যান্য ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ জন্ম লাভ করতে পারে না। তাই বাড়ি আশেপাশে নিজের উদ্যোগে সচেতন হই এবং ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করে ময়লা পানিতে ও পরিত্যক্ত আবর্জনা পাউডার ব্লিচিং পাউডার ও কেরোসিন দে দিয়ে ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ ধ্বংস করে।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের সচেতনের মাধ্যমে এডিস মশার লাভা ও তার প্রতিকার করা যেতে পারে আশা করি আমাদের যে করণীয় ও এর লক্ষণগুলো মানুষের দেখা দিলে তা অনেকটা সচেতন মূলক হতে পারবো এবং এর সাথে সাত দিনে একদিন ময়লা পানি ফেলে ফেলে দিন এই স্লোগান হাতে নিয়ে আমরা এডিস মশা ও তার লাভা ধ্বংস করতে পারি।

তাই বলতে পারি যে চাচাতো মূলক দেশ করতে হলে সবারই সহযোগিতা ও সাহিত্যের হাত বাড়িয়ে দিলে অনেকটা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আমরা দেশকে রক্ষা করতে পারি । বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আমরা একে ওপরে সাহায্য করতে পারি তাই আসুন আমরা এ দেশ মশা লাভা ও তার বংশবিস্তার রোধ করার জন্য একে অপরের সাহায্য করে তাই সচেতন মূলক দেশ হিসেবে আমরা গড়তে পারি।

যদি এ কন্টেন্ট আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা শেয়ার করবেন ও আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url