বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি



দৈনন্দিন জীবনে তোরই তরকারি সাথে মশলা হিসেবে আদা ব্যবহার করে থাকে আর মসলার মধ্যে আদাব অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আমরা বিভিন্ন সময় আদার নানা রকম ব্যবহার করে থাকে । 
বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি

আমাদের বিভিন্ন কাজে আদার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো দখল করে আছে । আসুন আমরা আদা খুব সহজে পদ্ধতি চাষাবাদ করা যায় আর অল্প খরচে নিজের বাড়ির আঙিনাতে আদা চাষ করে লাভবান হতে পারি এবং নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করতে পারি ।

ভূমিকা

আদা বস্তার মাধ্যমে নিজের বাড়ির উঠানে বা ছাদে ঘরে চারপাশে যেখানে খুশি ইচ্ছামত আপনি রোপণ করতে পারবেন । আপনার জমির উঁচু-নিচু মাটি পানি উঠে যাওয়ার ভয় থাকবে না । আপনি স্বল্প জাগাতে আপনি আদা চাষাবাদ করতে পারেন এবং চাষ করতে পারবেন এবং ভালো ফসল পাবেন ।

আদার পাশাপাশি অন্য ফসলের চাষাবাদ

আপনি খুব সহজে আদা চাষাবাদ করতে পারবেন এবং লাভজনক পদ্ধতিতে আপনার আশেপাশের পরিত্যক্ত জিনিসপত্র দিয়ে আপনি খুব সহজে আদার চাষ পদ্ধতি করতে পারবেন প্রথমে আপনি সিমেন্টের বস্তা তে জৈব সার ও মাটি দিতে হবে এ বাসটাতে আপনি একসাথে অনেকগুলো সবজি চাষাবাদ করতে পারবেন যেমন আলু শাক-সবজি ও আদার পাশাপাশি চাষ করতে পারবেন এগুলো স্বল্প মেয়াদে যে ফসলগুলো সেগুলো একসাথে চাষাবাদ করতে পারবেন ।

বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি  তে একদিকে যেমন মাটি নানা ধরনের রোগ বালাই ও অল্প জায়গাতে আপনি বেশি কিছু চাষাবাদ করতে পারছেন তাই এই পদ্ধতি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । আসুন এর বিস্তারিত আরো তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতেছি ।

মাটি প্রস্তুতি

প্রথমে মাটির প্রস্তুতি করতে হবে প্রথমে মাটির শুকনো যদি হয়ে থাকে তাহলে তা ঢিল খিলে ভেঙে নিতে হবে আর ঝরঝরে করে নিতে হবে ।এর সাথে মাটি ১২-১৫ কেজি পরিমাণ, পঁচা গোবর সার/ভার্মি কম্পোস্ট সার ৫ কেজি, সাদা বালু ৪-৫ কেজি, ছাই ১ কেজি, ও কার্বোফুরান গ্রুপের দানাদার কীটনাশক ২৫ গ্রাম।

এর সাথে টিএসপি ১০ গ্রাম , এম ও পি ১০ গ্রাম, জিংক ও বোরন সার ৫ গ্রাম করে মিশাতে পারেন। এগুলো এক বস্তার মাটি তৈরির জন্য। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে বস্তায় ভরে নিতে হবে। আপনার মাটি যদি বেলে দোআঁশ হয় তবে বালুর পরিমাণ কম দিতে হবে।

বীজ সংগ্রহ

নিকটস্থ সার ও বীজের দোকান হতে ভালো জাতের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া বাজারের যে আদা আমরা খাই ঐ আদাই বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ওখান থেকে ভালো দেখে আপনার পছন্দের আদাই চাষ করতে পারেন। সংরক্ষণ বীজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে তা মাটি প্রস্তুত করে তা বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি রুপন করতে হবে।

পানি সেচ

বৃষ্টিপাত না হলে বস্তায় হালকা ভাবে ঝাঝরি দিয়ে অল্প পরিমাণে সেচ দিতে হবে। তবে বৃষ্টি স্বাভাবিক মাত্রায় হলে সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে পানি যেন না জমে থাকে।

 বীজের আকার ও রোপন পদ্ধতি 

স্তায় আদা চাষ পদ্ধতি প্রতি বস্তায় ৩৫-৫০ গ্রামের ২-৩ টি কুঁড়ি বিশিষ্ট কন্দ মাটির ভিতরে ৩-৪ ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। বীজ লাগানোর পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।

সার প্রয়োগ

চারা লাগানোর দু’মাস পরে চার চা চামচ সরিষার খৈল ও আধ চামচ ইউরিয়া এবং রোপনের যথাক্রমে ৮০-৯০ দিন দিন পর ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম এমওপি সার আবার ১১০-১২০ দিন পর ৩ গ্রাম ইউরিয়া ৫ গ্রাম এমওপি সার ও ৫ গ্রাম ডিএপি সার বস্তায় প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের সময় মাটিটা একটু খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে।

বীজ বপনের সময়

বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য (এপ্রিল- মে) বপনের উপযুক্ত সময়। আদা জুন- জুলাই মাসে আধা লাগানোর সময় আর ডিসেম্বর - জানুয়ারি মাসে উত্তোলনের সময় এক একটি বস্তা তে আদা তিনটি করে গাছ রোপন করা হয় ।

আদার রোগ ও পোকামাকড়

Pythium aphanidermatum ( পিথিয়াম এফানিডারমেটাম ) নামক ছত্রাকের কারণে আক্রমণের হয়ে থাকে। এ রোগ রাইজমে আক্রমণ করে বলে আদা বড় হতে পারে না ও গাছ দ্রুত মরে যায়।

ছত্রাক আক্রান্ত লক্ষণ

ছত্রাক আক্রান্ত হলে পাতা প্রথমে হলুদ বর্ণ ধারণ করে এর সাথে অন্য কোন লক্ষণ দেখা যায় না হলুদ বর্ণ ধারণ করার পর কিছুদিনের মধ্যে পাতা গাছ ঢলে পড়ে এবং পাতা গোড়া থেকে সুখে যায় আদা পচন ধরে এবং মারাত্মক আকারে আধাটা নষ্ট হয়ে যায় এর কারণ আদার বেড ও বস্তার নিচে পানি জমে থাকা অতিরিক্ত বর্ষার জলাবদ্ধ ও স্ মাটির স্যাঁতস্যতে থাকলে এই ভাইরাসটি বেশি আক্রমণ করে । এ রোগটি মাটি পানি ও বিচার মাধ্যম হয়ে বিস্তারিত লাভ করে ।

 ছত্রাক গাছ তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা

ছাত্রকে লক্ষণ দেখালে তার ব্যবস্থা যে গাছটিতে আক্রমণ করা হয়েছে বা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে সে গাছটিকে অত্যন্ত জায়গা থেকে দূরে সরে নিয়ে আসা আর গাছটিকে যত দূরত্ব সম্ভব ধ্বংস করে । .
অন্যান্য যে গাছগুলো আছে সেগুলোর দিকে বিভিন্ন সে পরিবেশ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আশা এ থেকে আপনার অন্যান্য কাজগুলো অনেক অংশ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম রিডোমিল গোল্ড বা ১ গ্রাম অটোস্টিন মিশ্রিত দ্রবণে বীজকন্দ ৩০ মিনিট ডুবিয়ে ছায়ার নিচে শুকিয়ে রোপণ করতে হবে।

আদার সংরক্ষণ

আদা জুন- জুলাই মাসে আধা লাগানোর সময় আর ডিসেম্বর - জানুয়ারি মাসে উত্তোলনের সময় এক একটি বস্তা তে আদা তিনটি করে গাছ রোপন করা হয় এর সাথে আদা এক একটি বস্তা তে দুই থেকে তিন কেজি আধা পাওয়া যায় আদা তুলে নেয়ার পরে সে আদা বাজারে বিক্রয় পাশাপাশি নিজের সংগ্রহ করে রাখতে পারেন ।
সেই বাসটাতে আপনি আদা চাষ করেছিলেন সেই আডাতে আপনি অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারেন কারণ সে বসটাতে যে মাটি আছে সেগুলি আগে থেকে প্রস্তুত করা আছে তা অন্য ফসল আবাদ করলে ভালো ফসল উৎপাদনের আশা করা যায় ।

লেখকের মন্তব্য


বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি চাষাবাদ যদি করেন তাহলে খুব সহজে লাভবান হতে পারবেন । আর বাজার অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদা এর সাথে অনেক চাহিদা পণ্য আছে । যা আমরা মসলা সাথে দৈনন্দিন জীবনে আধার নানা রকম ব্যবহার করে থাকি তাই খুব সহজে আদা চাষাবাদ করলে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
আমাদের এই টিপসের মাধ্যমে আপনার বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে। যদি আপনার এই আলোচনা গুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার এই ওয়েবসাইটটা ফলো করুন আর আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url