কম্পিউটারে কি বোর্ডের পরিচয় শর্টকাট নিয়ম

 দৈনন্দিন জীবনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করি আর সেই কম্পিউটার ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রকম টাইপিং ডাটা এন্টি , মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট এক্সেল পাওয়ার পয়েন্ট এক্সেল  বিভিন্ন ব্লগার এবং অফিসিয়াল কিবোর্ডের সাহায্যে কাজ করে থাকে । বিভিন্ন শর্টকাট ও কি বোর্ডের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি কাজ করার জন্য কি বোর্ডের A To Z ব্যবহার সেগুলো তুলে ধরা হবে।


ভূমিকা

কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক শব্দ Compute থেকে এসেছে। কম্পিউটার একটি ইংরেজী শব্দ যা ল্যাটিন শব্দ কম্পুটেয়ার (Computaer) থেকে এসেছে। যার অর্থ গণনাকারী। কম্পিউটার একগুচ্ছ বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সমাহার, যা বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে যৌক্তিক কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে ।

এটি বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রুপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ তথা কমান্ডের সাহায্যে সমাস্যার সমাধান করে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় এটিকে কেবলমাত্র গণনা কাজে ব্যবহার করা।

বর্তমান কম্পিউটারে ব্যবহার দিন প্রতিনিয়ত ব্যবহার বাড়ছে।  কম্পিউটারের বর্তমান সকল ক্ষেত্রে কাজ করা হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে চিকিৎসা ট্রেনসেবা লেখাপড়া অফিসিয়াল বিভিন্ন কার্যক্রম ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হচ্ছে সে সাথে কম্পিউটার অংশ হিসেবে কি বোর্ডের প্রতিনিয়ত ব্যবহার হচ্ছে ।

key board পরিচিতি
কিবোর্ডে কি সাধারণত থাকে 104 টা প্রায় ল্যাপটপের কিবোর্ড এ কি থাকে 96 টি ।
key board এর কী গুলোকে কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ--
১। F1-F12 পর্যন্ত বোতাম গুলোকে ফাংশন কী বলা হয়।
২। 0-9 পর্যন্ত বোতাম গুলোকে নিউমেরিক কী বলা হয় ।
৩। A-Zপর্যন্ত বোতাম গুলোকে লেটার কী বলা হয় ।
৪ । চার দিকের এ্যারো কী গুলোকে Arrow key বালে ।
৫। বাকি কি গুলোকে কিবোর্ডে স্পেশাল কি বলে ।

কম্পিউটারের কিবোর্ডে ব্যবহার

কিবোর্ডে ব্যবহার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিবোর্ড এর মাধ্যমে পৃথিবীর যাবতীয় কাজ তৎক্ষণিকভাবে করা যায় কিবোর্ড এর ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটা এন্টি এক্সেল মাইক্রোশ ওয়ার্ড ফটো সেভ বাসের টিকিট ট্রেনের টিকিট টা দিন যাবতীয় কাজ করা হয়

ধরা যাক আপনার বাসাতে কারেন্ট বা বিদ্যুৎ চলে গেছে । সেই মুহূর্তে আপনার পরিবার থেকে বলল যে টেবিলে উপর বা লাইক রাখা আছে । সেই লাইট টা আপনি সাথে সাথে খুঁজে পেলেন , কিন্তু আপনি বেড়াতে গেছেন আত্মীয়স্বজনের বাসা সেখানে কারেন্ট বা বিদ্যুৎ চলে গেছে ।

আপনার আত্মীয়-স্বজনের কেউ একজন বলল যে টেবিলের উপর লাইট টা রাখা আছে । সেটা খুঁজে লাইট জ্বালান কিন্তু লাইটটা খুঁজতে অনেক কষ্ট হবে,তেমন কি বোর্ডের ব্যবহার না জানা থাকলে কম্পিউটারের যদি কোন কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অনেকটা আত্মীয় বেড়াতে যাওয়ার মতনই হবে সুতরাং কিবোর্ডে ব্যাবহার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কিবোর্ডে ESC ব্যবহার

কিবোর্ডে প্রধান কি বলা হয় ESC .এ কি সাহায্যে কম্পিউটারের প্রধান প্রধান কাজ করা হয় কম্পিউটার উইন্ডোজ দেওয়ার সময় কিবোর্ডে কি পেশ করতে হয় তাহলে Boot menu আসবে । আর (ESC + Ctrl ) ESC এর সাথে কন্ট্রোল পেশ করলে অল প্রোগ্রাম বা  windows হোম আসবে ।

কিবোর্ডে Tab ব্যবহার

 ট্যাপ এর মাধ্যমে  মাইক্রোসফট ওয়ার্ড নির্দিষ্ট 0.5 জায়গা ফাঁকা করে।ট্যাপ সাহায্যে সব সময় ডান দিকে যাবে।এক্সেল ,ডাটা এন্টি , মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট সব গুলোতে সময় ডান দিকে যাবে।


কিবোর্ডে Caps Lock ব্যবহার

ক্যাপস লক অন করলে ইংরেজি বর্ণ গুলো সবগুলো বড় হতে হবে আর ক্যাপস লক অন করার সাথে সাথে ডানদিকে কিবোর্ডের এলইডি বাল্বটা জ্বলে উঠবে ।

কিবোর্ডে Shift ব্যবহার

শিফট ব্যবহার করলে ক্যাপস অফ থাকলে ইংরেজি ওয়ার্ডগুলো বড় । ক্যাপস অন থাকলে বিপরীত কাজ করে ইংরেজি ওয়ার্ডগুলো  ছোট হাতের হবে।
বিজয় ৫২ বাংলা ফন্ট ব্যবহার করলে শিফট ব্যবহার করলে কিবোর্ডের কি গুলোর একটা কি ২ শব্দ শিফট ধরে থাকে মাথার উপরে কিবোর্ড কি গুলো হবে ।

কিবোর্ডে Ctrl ব্যবহার

কন্ট্রোলের কাজ কিবোর্ডে মাধ্যমে কোন কিছু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয় । কি বোর্ডে
এর কন্ট্রোল মাধ্যমে শর্টকাট বিভিন্ন রকম তথ্য ও তাড়াতাড়ি কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ধরেন যে আপনি কোথায় যাবেন হঠাৎ করে রাস্তার মধ্যে জ্যাম বাজছে সেই রাস্তায় আপনি জরুরি যাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তার বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করলে । তেমন সেটা হল কন্ট্রোলে কাজ কন্ট্রোল অর্থ হলো কোনো কিছু তাড়াতাড়ি তাৎক্ষণিকভাবে করার জন্য খুব জরুরি কাজ করা হয় ।যেমন : Ctrl+S , Ctrl+o,Ctrl+J,Ctrl+V,Ctrl+C ইত্যাদি কন্ট্রোল প্লাস যেটা কিবোর্ডে কি কমান্ড থাকবে সেটা পেশ করলে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করা হবে।

কিবোর্ডে উইন্ডোস ব্যবহার

উইন্ডোস কি স্টার্টবার ক্লিক করলে  কিবোর্ডের মাধ্যমে স্টার্ট মেনুতে যাবে অল অ্যাপস সেখানে দেখা যাবে। আপনি যে অ্যাপসটি ব্যবহার করবেন সেখানে আরো কি ব্যবহার করে সে অ্যাপটি সিলেক্ট করে তারপর ইন্টারফেস করেন তাহলে অ্যাপটি এর ভিতর  প্রবেশ করবেন । কিবোর্ড এর চারকোনা ঘরের মতো থাকে কিবোর্ড এর তাকে star বার বলে হাতের ডানে ও বামে দুই পাশে আছে ।

অনেক সময় মাউস নান ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা প্রয়োজন সে কাজটাকে আপনার তাৎক্ষণিকভাবে করতে হবে। মাউস বিকল্প হিসেবে স্টার্টবার ক্লিক করে আপনি  অল প্রোগ্রাম কাজ করতে পারবেন এর সাথে বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট আপনি যেতে পারবেন।

কিবোর্ডে alt ব্যবহার

alt কিবোর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ কি। এডোবি ফটোশপ কাজ আলটার মাধ্যমে বেশি কাজ করা হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে ও অনেক রকম কিবোর্ড এর শর্টকাট কি দেয়া হয় । alt কি পেশ করলে শর্টকাট কি চলে আসে ।

ধরেন যে আপনি মাইক্রোটে কাজ করছেন হঠাৎ করে আপনার মাষ্টি সমস্যা দেখা দিল সেই মুহূর্তে আপনি alt+ Fএর পেস্ট করলে আপনি ফাইলে যাবেন ,তার পরে ফাইলে যাওয়ার পর সেখানে সি কিবোর্ড পেশ করেন তাহলে আপনার ক্লোজ করে দেবে ফাইল থেকে আপনাকে বের করে দিবে এটাই হলো সেই alt কাজ আর ফটোশপের জন্য সিলেট করা বিভিন্ন রকম কাজ করে ।

কিবোর্ডে স্পেস ব্যবহার

কিবোর্ডে সবচেয়ে লম্বা যে কি আছে তাকে বলা স্পেস কি । কিবোর্ডে একটি ওয়ার্ড থেকে একটি ওয়ার্ড দূরত্ব করার জন্য যে কি ব্যবহার করে হয় তাকে স্পেস কি বলা হয় । যেমন ধরেন আজ স্কুল বন্ধ। আজ স্কুল বন্ধ এর মধ্যে যে ফাঁকা ফাঁকা রেখা হয়েছে সেটা স্পেস এর কাজ।

কিবোর্ডে Arrow key ব্যবহার

কিবোর্ডে চার দিকের এ্যারো কী গুলোকে Arrow key বালে । সাধারনত আপডাউন রাইট করার জন্য যে ব্যবহার করা হয় । এটা সব জায়গাতে কাজ করে |

কিবোর্ডে Enter ব্যবহার

ইন্টার ব্যবহারের মাধ্যমে মাইক্রোস ওয়ার্ড ভেতরে ব্ল্যাক ডকুমেন্ট নতুন লাইন তৈরি করার জন্য ইন্টারপেস করা হয। এটাই স্পেশাল কি এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কী। কোন জায়গাতে প্রবেশ করা কোন ডকুমেন্ট বের হয়ে যাওয়া এবং আনুষঙ্গিক কাজ করার ইন্টার ফেস করা হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ   কিবোর্ডে ইন্টার ।

কিবোর্ডে Backspace ব্যবহার

ব্যাকস্পেস এর মাধ্যমে মাইগ্রাস ওয়ার্ড এর কোন ডকুমেন্ট টাইপ করলে সেটা যদি ভুল হোক বা সঠিক হোক অপ্রয়োজনীয় কেটে দেওয়া হয় । অর্থাৎ পূর্ব অবস্থায় চলে যাওয়া হয় ব্যাকস্পেস মাধ্যমে করা হয়।

কিবোর্ডে Ctrl+A ব্যবহার

Ctrl+A করলে ওয়াল সিলেট হয় । ডকুমেন্ট পেজে বা ডকুমেন্টে যত লেখা আছে সবগুলোই সিলেটে গেলে অল সিলেট হল Ctrl+A .

কিবোর্ডে Ctrl+C ব্যবহার

Ctrl+C ডকুমেন্টের ভিতরে কোন কিছু লেখা সিলেক্ট করে হুবহু কপি করলে সেটা হল কন্ট্রোল শি কন্ট্রোল শি করলে ও আরেকটা কপি হয়ে যায় অর্থাৎ একটা ডুবলিকেট তৈরি হয়ে যায় কন্ট্রোল সে।

কিবোর্ডে Ctrl+V ব্যবহার

Ctrl+C ডকুমেন্টের ভিতরে কোন কিছু কপি করলে তা স্থান্ত করতে হলে কন্ট্রোল ভি পেশ করতে হবে কন্ট্রোল ভি অর্থ অত হল কোন কিছু ডুবলিকেট লেখা নিয়ে আসা

কিবোর্ডে Ctrl+P ব্যবহার

কমেন্টে কোন কিছু লেখা বা কোন ডকুমেন্ট আপনার লেখা কমপ্লিট হয়েছে এটা হলো প্রিন্ট করা প্রয়োজন প্রিন্ট করতে হলে কন্ট্রোল প্রি-পেশ করতে হবে আপনি for paper বা প্রিন্টারের অপশন দিয়ে আপনি বিভিন্ন প্রিন্ট করতে পারবেন কিবোর্ড কমান কন্ট্রোল পি।

কিবোর্ডে Ctrl+Z ব্যবহার

কিবোর্ড কমান্ড কন্ট্রোল সেট এর কাজ হল আনডো, আমরা তো পুরো অবস্থায় কোন কিছু নিয়ে আসা অর্থাৎ  কোন ডকুমেন্ট আপনি ব্যাক স্পেস দিয়ে আপনার ডকুমেন্ট মুছে গেছে সেটা পুনরায় নিয়ে আসা  জন্য কন্ট্রোল জেট ব্যবহার করা হয়

কিবোর্ডে Ctrl+X ব্যবহার

এক্স এর কাজ হল কোন কিছু কেটে ফেলা অর্থাৎ কোন কিছু বাতিল বা ডিলিট করার প্রয়োজন সিলেট করে কন্ট্রোলিক করলে কেটে যাবে আবার কন্ট্রোল এক্স  করলে কপি হয়ে যাবে

কিবোর্ডে Ctrl+B ব্যবহার

কন্ট্রোল বি কাজ হল আপনার কিবোর্ড এর লেখা কোন কিছু লেখা বোল্ড করা এটা হল মূল তথ্য মোটা করা সিলেট করে কন্ট্রোল প্রেস করলে লেখাটা  মোট হয়ে যাবে 

কিবোর্ডে Ctrl+E ব্যবহার

ডকুমেন্টের ভিতর কোন কিছু লিখলে সেটা মাঝখান থেকে নিয়ে আসার জন্য কন্ট্রোল ই করা হয় এই হল এলিজম্যান সেন্টার অর্থাৎ ডকুমেন্টের মাঝখান থেকে যে লেখা শুরু হয় তাকে এলিমেন্ট সেন্টার বলা হয়।

কিবোর্ডে Ctrl+Lব্যবহার

কন্ট্রোল এল অর্থ হলে  লেফট  কোন ডকুমেন্ট এর ভিতর লিখলে সেটা হল বাম থেকে যেটা শুরু হয় সেটা লেফট যে বাম থেকে ডানেট লেখা হয় সাধারণভাবে আমরা বাংলা যেগুলো লিখে বাংলা ইংরেজি সেটা হলো লেফট অর্থাৎ বাম থেকে লেখাটা শুরু হয় সেটা হলো লেফট কন্ট্রোল এল করলে লিভ থেকে লেখা শুরু হবে

কিবোর্ডে Ctrl+R ব্যবহার

কমেন্টের কোন কিছু লিখলে যেটা ডান থেকে শুরু হয় সেটা হল কন্ট্রোল আর করলে রাইট হবে এটা হল আরবি লেখার ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা হয় এটার কন্ট্রোল আর রাইট হয়

কিবোর্ডে Ctrl+G ব্যবহার

কোন ডকুমেন্টের ভিতর কন্ট্রোলজি করলে গো টু হয় লাইনে যাও স্পেসে যাওয়া কোন পেজে যাওয়া কত নাম্বার পেয়ে দেখা দিক পেজ থাকলে নির্দিষ্ট পেজে যাওয়া কাজ করে কন্ট্রোলজি অর্থ হলো গো টু

কিবোর্ডে Ctrl+F ব্যবহার

 কোন ডকুমেন্টের ভিতর কন্ট্রোল ইউজ করলে রিপ্লেস হবে রিপ্লেস এত পরিবর্তন অর্থাৎ যে নামটা আছে কোন ব্যক্তিকে স্থানান্ত করলে সেটা পরিবর্তন করার জন্য কন্ট্রোলজি করা হয়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url