বাংলাদেশে ভিবিন্ন প্রজাতির স্বাদু - সমুদ্রের পানির মাছ


মাছ একটি শীতল রক্তবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী প্রাণী । বেশিরভাগই শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ফুলকা সাহায্য পানি থাকে অক্সিজেন নিয়ে থাকে। মাছ পাখনা সাহায্য চলাচলের করে ,প্রায় মাছ দেহে সচরাচর আঁইশ থাকে।

বাংলাদেশে ভিবিন্ন  প্রজাতির স্বাদু   সমুদ্রের পানির মাছ

মাছের বাসস্থান :

মাছ বাস সাধারন লোনা ও স্বাদু পানি ।
সমুদ্রের লোনা জল ।

স্বাদু বা মিষ্টি জল ।
যেমন: খাল, বিল, হাওর, বাওর, নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবায় বাস করে।

বর্তমানে কত প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ পাওয়া যায়বাংলাদেশে মিষ্টি পানি মোট প্রজাতি সংখ্যা ২৬০ টি এবং লোনা পানিতে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে বা স্বাদু পানির মাছের সংখ্যা কমছে। বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিস এইআইএস-এর হিসেব দেশে বিলুপ্ত প্রায় মিষ্টি পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪টি এবং মাছের প্রজাতিগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে। যেমন:ট্যাংরা, মহাশোল, সরপুঁটি, টাটকিনি, বাগাড়, রিঠা, পাঙাশ আর চিতল মাছের ।

মাছের উপকারিতা :

নিয়মিত মাছ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, চোখের অসুখ, হাত-পা ব্যথা, শরীরের দুর্বলতা ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া যায়। প্রতিদিন একশ গ্রাম করে মাছ খেলে পাঁচ থেকে ছয় পয়েন্ট উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
মাছের তেলে থাকা ডকসা হেক্সোনিক অ্যাসিড ।মাছ খেলে মানব দেহের রক্ত বাড়ায়। স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। মাছখেলে মানব দেহের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়। রোজ মাছ খেলে বাতের ব্যথা কমে।

শিশুদের জন্য উপকারী ছোট মাছ

ছোট মাছ শিশুদের উপকারী অনেকএতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ ’এবং ‘ডি’ থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ।শিশুরা মাছ খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু শিশুদেরকে সপ্তাহে কমপক্ষে দুইদিন খাদ্য তালিকায় মাছ রাখুন। 
পুষ্টির সকল উপাদান মাছের মধ্যে পাবেন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাদ্য তালিকায় আরখুন। এর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করবে।

মাছ খালে ঘা শুকাতে সাহায্য করে। যে কোনও মাছে অতি প্রয়োজনীয় ডিএইচএ এবং ইপিএ থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপযুক্ত ডিএইচএ এবং ইপিএ সেবন করা অতি উপকারী।

স্বাদু পানি মাছের তালিকা :

১৮২২ সালে স্বাiদু পানির মৎস্য প্রজাতিসমূহের বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হয় । নদী বা হ্রদে বাস করে লবণাক্ততা ১.০৫% এর কম।

যেমন : রুই , সরপুঁটি , জাত পুটি , সরপুটি ফুটানি পুটি , মলা পুঁটি , গিলি পুুঁটি ,কাঞ্চন পুঁটি , মলা পুঁটি , থুইতা পুঁটি ,লোহাছুরা ,কসুয়াতি , কালো কার্প , গেলাস কার্প , কসুয়াতি , ঘোড়া মুইখা , গনি , ঘনিয়া , ভাঙ্গন বাটা , সিলভার কার্প ইত্যাদি ।

বিশ্বে মিঠা পানির মাছ কমছে, হারিয়ে যাচ্ছে দেশ মাছ:

বাংলাদেশে মিষ্টি পানি মাছ মোট প্রজাতি সংখ্যা ২৬০ টি এ মধ্যে প্রজাতি মাছ ৮০টি প্রজাতি সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে গত এক বছরের মধ্যে। গত কয়েক দশক ধরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয়গুলোর আয়তনে সংকোচন, নদী বা জলাশয়ের পানির অপরিমিত ব্যবহার, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকের দ্বারা পানির দূষণ এবং মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের সংখ্যা কমছে।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url