যাকাত কাদের উপর ফরজ
ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী যাকাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।পঞ্চম স্তরের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান যার যাকাত ।যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি তার জানর্মান পবিত্রতা অর্জন করে যাকাতের মাধ্যমে গরীব দুঃখীদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয়।
যাকাত ইসলামের মূল ভিত্তির মধ্যে অন্যতম। ইসলামের অর্থব্যবস্থা প্রধান নিয়ম কারি শক্তি দারিদ্র বিভাজন অভিযান অর্থনীতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ইসলামে পাক প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলমান সম্পদ মুসলিমের উপর যাকাত ফরজ । যাকাত ফরজ হয়ে যাওয়ার শর্তাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আভিধানিক অর্থে : যাকাত শব্দটি নাসারা এর মাসদার । শব্দটি আভিধানিক অর্থে
- বৃদ্ধি পাওয়া
- পবিত্রতা লাভ করা।
- প্রাচুর্য ।
যাকাত পারিভাষিক সংজ্ঞা
যাকাত পরিভাষার সংজ্ঞায় আদ-দুররুল মুখতার গ্রন্থাগার বলেন যে আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের উদ্দেশে কতৃক নির্ধারক মালের একাংশ হাশেমী ও তাদের দাসদাসীদের অতীতের অন্য মুসলিম দারিদ্র বিনা স্বার্থে যাকাত
প্রদান করতে হবে।
আল্লামা ইউসুফ কারযাভী (রহঃ) বলেছেন -যাকাত হলো সাধারণ মালের নির্ধারণ অংশ যা আল্লাহ তার হকদারদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।
যাদের উপর যাকাত ফরজ
ইসলামইসলামে আইন দুইটিগত ঐকমত পেশ করছেন যে স্বাধীন পূর্ববয়স্ক পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর নারী কাছে নেশা পরিমাণ সম্পদ থাকলে নিম্নবদিত সত্য স্বাভাবিক ওয়াজিব যাকাত ওয়াজিবা ফরজ হবে ।
মুসলিম হওয়া
যাকাত ফরজ হতে হলে ব্যক্তিকে প্রথমত মুসলিম হতে হবে । কেননা যাকাত ইসলামী চতুর্থ মৌলিক ভিত্তি ।একমাত্র মুসলমানদের ওপর ফরজ করা হয়েছে । মুসলিম ছাড়া ইসলামী বিধি পালন করতে আবশ্যক নয় তাই কোন অমুসলিমের উপর যাকাত ফরজ না।
প্রাপ্তবয়স সম্পন্ন হওয়া
ইসলাম পূর্ণ পূর্ণবয়স্ক সম্পদে ব্যক্তির উপর তার বিধি-বিধান পালন আবশ্যক করে দিয়েছে। তাই যাকাত ফরজ হতে হলে ব্যক্তিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রাপ্ত হতে হবে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সম্পদ শালী হলো তার উপর যাকাত আদায় করা আবশ্যক নয়।
জ্ঞানবান হওয়া
ইসলামের শরীয়তে সকল সুস্থ বিকাশের সম্পূর্ণ ব্যাক্তি যাকাত ফরজ । যাকাত জ্ঞান ব্যাক্তি সুস্থ বিধি সম্পন্ন সুস্থ ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ।আর কোন মস্তিষ্ক বিকৃত বা পাগলের উপর যাকাত ফরজ নয়।
ঋণ মুক্ত হওয়া
ব্যাক্তি যদি ঋণগ্রস্ত হয় আর যদি ঋণগ্রস্ত পরিশোধেরে পর কোন সম্পদ অবশিষ্ট না থাকে তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে না। ঋণ পরিশোধেরে পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবস্থা থাকলে তারপর যাকাত ফরজ হবে ।তাই যাকাত ফরজ হতে ঋণমুক্ত হওয়া আবশ্যক।
নিসাব পূর্ণ হওয়া
যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত ফরজ হয় তাকে নিসাব বলে হয় । আর কোন ব্যাক্তি কাছে ৭.৫০ তোলা স্বর্ণ বা ৫২.50 তোলা রুপা এর পরিমাণ সম্পদ । কোন ব্যক্তি কাছে সে পরিমাপ সম্পদ মালিক হয় তাহলে তা উপরে যাকাত ফরজ ।কোন ব্যাক্তি কাছে ১ বছরে কোন সম্পদ স্থায়ী হওয়া নিশা পরমাণু সম্পদ কাছে থাকলে তাকে যাকাত হবে ।
লেখকের মন্তব্য
এই পোস্ট থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে যাকাতের গুরুত্ব অনেক । যাকাত ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর যার মাধ্যমে নিসাব পরিমাণ সম্পদ দান করে সম্পদের পবিত্রতা করে
আশা করি আপনারা আমার এই পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আমার এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মী স্বজন ও অন্যান্যদের কাছে শেয়ার করুন যাতে তারা ও পড়ে উপকৃত হয় ধন্যবাদ।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url