দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
মোবাইল ফোন কাকে বলে
মানুষের জন্য মোবাইল ফোন হলো একটি চমৎকার আবিষ্কার । মোবাইল ফোন তারবিহীন হওয়া মানুষের জন্য খুব সহজ ও সুবিধাজনক বহন কারি ইলেকট্রনিক যন্ত্র ।মোবাইল ফোন তারবিহীন বা ছোট হওয়াই মানুষ খুব সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাই বহন করতে পারে ।
মোবাইল ফোন দিয়ে চমৎকার কাজ করতে পারি যেমন, ছবি তোলা , গান শুনা ,হিসাব করা ইত্যাদি । মোবাইল ফোনের জন্য সেকেন্ডের মধ্যে প্রথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম ।
মোবাইল ফোন আবিষ্কার
মোবাইল ফোনকে বিজ্ঞানের অন্যতম চমৎকার ইলেকট্রনিক আবিষ্কার বলতে পারি । যে ব্যক্তি বিশ্বের প্রথম ফোনটি আবিষ্কার করেছিলেন তিনি হলেন মার্টিন কুপার । মানুষ টেলিফোন আবিষ্কারের পর তারবিহীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কথা ভাবতে থাকে।১৯৪০ সালে মিলিটারিরা রেডিও টেলিফোন ব্যবহার করে। এই রেডিও টেলিফোন ব্যবস্থার আবিষ্কারক ছিলেন রেজিনালদ ফেসেন্দেন।
মার্টিন কুপার 1970 সালে মটোরোলে যোগদান করেছিলেন। মার্টিন ছিলেন একজন আমেরিকান যাঁর টেলিকম শিল্পে দারুণ আগ্রহ ছিল। মার্টিন কুপার Wireless প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন। পরে তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিখ্যাত মটরোলা কোম্পানির প্রধান জন মিচেল বহনযোগ্য তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করে তা আধুনিক স্মার্টফোনের রুপান্তর হাই।
আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন মটোরোলার গবেষক ও নির্বাহী মার্টিন কুপার। মার্টিন কুপার প্রথম সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন বা মুঠোফোন আবিষ্কার করেন। যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি ।
দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
মোবাইল ফোন দিয়ে আমরা এখন ভিডিও ,দেশ বিদেশের খবর দেখতে পারি,রেডিও শুনতে পারি। তাছাড়া অন্যান্য বিনোদন এর মাধ্যমে হিসবে মোবাইল ফোন ব্যবহৃত করি। বর্তমানে পৃথিবীতে স্মার্ট ফোন বিনোদনের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বড় মাধ্যমে পরিনত হয়েছে ।
স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, সিনেমা, নাটক, গান, ছবি, গেমস ইত্যাদির মাধ্যমে বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান উপভোগসব থেকে বেশি উপভোগ করে এর মাধ্যমে ।
বাংলাদেশে প্রথম ফোন আসে
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে।হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে।
মোবাইল ফোনে সুবিধা
আধুনিক কালের মোবাইল ফোনে সুবিধা অনেক তার মধ্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ আদর প্রদান কথাবার্তা প্রদান।
বিনোদনের সর্বপ্রথম সবকিছুই স্মার্টফোনের মাধ্যমে থাকে আর স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমাদের যাবতীয় দৈনন্দীনেরপ্রয়োজনীয়থেকে যাবতীয় সব কিছু কাজ করা যায় ।সকাল থেকে শুরু করে ঘুম পাড়া আগ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ।
মোবাইল ফোনে অপকারিত
মোবাইল ফোন ব্যবহারের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনই অপকারিতর রয়েছে। মানুষ বিনা করণে অর্থ সহ সময় অপচয়, মোবাইলের আসক্তি বর্তমান যুব সমাজকে পুরোপুরী গ্রাস করেছে এর সাথে পর্ণোগ্রাফী আসক্তি ভিডিও দেখার ফলে যুব সমাজ র্ধ্বংস হচ্ছে ।
দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহার করলে কানের পর্দা সমস্যা হয়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কে ক্যানসার হতে পারে।অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অল্প বয়সেই চোখের দৃষ্টি নষ্ট হতে পারে।
ওরাও হাসবে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url